চট্টগ্রামের উইকেট বরাবরই ব্যাটিং বান্ধব হয়ে থাকে। অতীত ইতিহাস সেটাই বলে। তাছাড়া শ্রীলঙ্কাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলেই স্বাগতিক বাংলাদেশ ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে তাদের আমন্ত্রণ জানায়। ২০১৮ সালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সবশেষ টেস্টে তিন ইনিংসেই পেরিয়ে গিয়েছিল পাঁচ দিন। দুই দল মিলে করেছিল ১ হাজার ৫৩৩ রান। বোলারদের জন্য প্রাণহীন সে উইকেট পেয়েছিল ডিমেরিট পয়েন্ট।
২০১৮ সালের পর বাংলাদেশের মাটিতে আর টেস্ট সিরিজ খেলেনি শ্রীলঙ্কা। ওই টেস্টের মতো এবারও চট্টগ্রামে ফ্লাট উইকেটই দেখছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। তার কাছে চট্টগ্রামের উইকেট মানেই বোলারদের জন্য অসম্ভব কোনও লড়াই! আজ (শনিবার) অনুশীলনে এসে সোজা উইকেটের দিকে ছুটে যান লঙ্কান অধিনায়ক। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। এটা ফ্লাট উইকেট, যেটা বললাম ২০ উইকেট পেতে হলে বোলারদের অনেক চতুর হতে হবে। উইকেট না এলেও চতুরভাবে ভাবতে হবে। আউট অব দ্য বক্স কিছু করতে হবে।
করুণারত্নে মনে করেন, বোলারদের সাফল্য পেতে এখানে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, ‘এটা সহজ না। অনেক কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। পিচে বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। আপনি যদি অনেক চতুর হতে পারেন, তাহলে উইকেট পাওয়া সম্ভব।’
চট্টগ্রামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে সাফল্য পেতে উপায় খুঁজছেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক, ‘চট্টগ্রামে সাধারণত ফ্লাট উইকেট হয়। কাজেই অনেক রান করে তাদের চাপে রাখতে হবে। গত কয়েক টেস্ট ধরে যেটা হচ্ছে, মনে হচ্ছে এখানে হাজার রান আছে। এটা দেখে মনে হচ্ছে খুব ভালো ফ্লাট উইকেট। কিন্তু নিজেদের হোমওয়ার্ক করতে পারলে ভিন্ন কিছু সম্ভব। আমরা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেললে ঢাকায় জয় নিয়ে যেতে পারবো।’
করোনামুক্ত হয়ে আজ ব্যাটিং অনুশীলন করে নিজেকে ‘ফিট’ প্রমাণ করেছেন সাকিব আল হাসান। গত কয়েকদিন তার খেলা নিয়ে সংশয় থাকলেও আজ বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের খেলার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়। লঙ্কান অধিনায়ক মনে করেন, সাকিব না থাকলে তাদের জন্য সুবিধাই হতো, ‘আমরা যখন এখানে এসেছি তখন বাংলাদেশ স্কোয়াডে সাকিব আছে জানতাম। আমরা জানতাম সে খেলবে এবং সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। যদি সে না খেলতে পারে তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। কিন্তু এই মুহূর্তে আমদের পরিকল্পনায় কোনও পরিবর্তন আসেনি।’