টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে, ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণে বড় দলগুলোর বিপক্ষে এই ফরম্যাটে সুবিধা করতে পারছে না লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আজ (বৃহস্পতিবার) গায়নাতে তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগে স্কোরবোর্ডে ধারাবাহিক রান তোলার ফর্মুলা জানালেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের থেকে ব্যাটারদের দায়িত্বটাই বেশি। সেটা ঠিকঠাক করার সমাধান একটাই- ধারাবাহিকভাবে স্কোরবোর্ডে ১৬০-১৭০ রান তোলা। এটি সমাধানের পথ পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সাফল্যের খোঁজ পেতে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, ইনিংসের শুরুতে ব্যাটারদের ছোট ক্যামিও ইনিংস খেলতে হবে। সেটি ধারাবাহিকভাবে টেনে নিতে হবে অন্য একজনকে। ইনিংসের শেষ দিকে খেলতে হবে আরও একটি টর্নেডো ইনিংস। তাতেই লড়াই করার মতো স্কোর হবে।
গায়ানার শেষ টি-টোয়েন্টির আগে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘অনেক সময় ওপেনাররা ভালো শুরুর পরও মিডল অর্ডার সেটা টেনে নিয়ে যেতে নাও পারে। তারপরও কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। আগের ম্যাচে সাকিব যে রকম একটা ইনিংস খেললো, আমরা ১৬০-এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। এরকম একজনকে করতে হবে। সঙ্গে কয়েকজনকে ১৫, ২০, ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলতে হবে। সেটা শুরুতে একজনকে খেলতে হবে এবং শেষে আরেকজনকে। তাহলে হয়তো আমরা ধারাবাহিকভাবে ১৬০-১৭০ করতে পারবো।’
কুড়ি ওভারে ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও বোলাররা একেবারেই খারাপ করছেন না। মাহমুদউল্লাহ বোলারদের ওপর আস্থা রাখছেন। তার মতে, স্কোরবোর্ডে ১৬০-১৭০ রান তুলতে পারলে ম্যাচ জেতা সম্ভব, ‘আমাদের বিশ্বাস ব্যাটাররা যদি ধারাবাহিকভাবে ১৬০-১৭০ রান করতে পারে, বোলাররা সেটা ডিফেন্ড করতে পারবে। হয়তো আগের ম্যাচে পেস বোলাররা ভালো করতে পারেনি। কিন্তু অনেক ম্যাচেই কিন্তু বোলাররা প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে রাখতে পেরেছে।’