পাকিস্তানের সঙ্গে আবারও কাজ শুরু করতে যাচ্ছে মিকি আর্থার। দেশটির জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। তবে এবার ফিরছেন অন্য ভূমিকায়। ইংলিশ কাউন্টি ডার্বিশায়ারের প্রধান কোচের পাশাপাশি পাকিস্তানের ডিরেক্টর অব ক্রিকেটের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর পাকিস্তানের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ।
এক বছরের চুক্তি অনুযায়ী আর্থার পাকিস্তানের কোচিং স্টাফদের পরিচালিত করবেন যুক্তরাজ্য থেকে। কাউন্টি মৌসুম শেষে সীমিত কিছু সিরিজে কোচিং স্টাফদের সঙ্গে থাকবেন তিনি।
আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের এশিয়া কাপের ম্যাচগুলোতে দলের সঙ্গে থাকবেন আর্থার। মূলত ৫০ ওভারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার উদ্দেশ্যে তাকে আনা হয়েছে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়া সফর ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজেও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে থাকবেন ৫৪ বছর বয়সী কোচ।
২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের কোচ থাকাকালে বেশ সাফল্য পান আর্থার। তার অধীনে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতার পাশাপাশি শীর্ষ টেস্ট র্যাঙ্কিংধারী দল হয় তারা। তবে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তান সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলে তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি পিসিবি।
আর্থার বলেছেন, ‘শেষ পাঁচ বছরে আমি টেলিভিশনে পাকিস্তানের প্রতিটি খেলা দেখেছি। আমি খেলোয়াড়দের অতীত জানি, তারা টেকনিক্যালি কী চিন্তা করছে সেটা বুঝি।’
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কটা আবেগের বললেন তিনি, ‘অনেকে বলে পাকিস্তান আপনার রক্তের মধ্যে মিশে থাকে, অবশ্যই রক্তে মিশে থাকে। এই ক্রিকেট দলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আবেগের, এই দেশের সঙ্গেও। আবার ফিরে আসা ও দলকে সহায়তা করা আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তি। আশা করি বিশ্বকাপ জিততে পারবো, আর সব ফরম্যাটে বিশ্বের এক নম্বর হতে পারবো কারণ আমাদের অব্যশই সেই প্রতিভা আর খেলোয়াড় আছে।’
২০১৬ সালে আর্থারের অধীনে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল বাবরের। এই ডানহাতি ব্যাটারের উত্থান অপ্রত্যাশিত লাগেনি তার কাছে, ‘আমি জানতাম সে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি সে এখন এক নম্বর ব্যাটার এবং চমৎকার একজন প্রতিভা। আমি এখনও মনে করি তার উন্নতির জায়গা আছে। আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করে যাবো। সে ক্রিকেটের লিজেন্ড হতে যাচ্ছে।’