বাংলাদেশে এসে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলেছেন ভারতের নারী ক্রিকেটাররা। এই সময়ে স্বাগতিক দলের পেসার মারুফা আক্তার তার বোলিং দিয়ে বিস্মিত করেছে তাদের। তাকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসালেন ভারতের সহঅধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা।
তৃতীয় ম্যাচের আগের দিন স্মৃতি জানালেন, মারুফার প্রচেষ্টা ভারতের সকল ক্রিকেটারকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তার আলাদা অ্যাকশন আছে এবং সেই অ্যাকশনের কারণে আমরা যতটা মনে করি তার চেয়েও বেশি সে গতি তুলতে পারে। এই কারণে বল ছোড়ার মুহূর্তে যতটা মনে হয়, তার চেয়ে বল বেশি স্কিড করে। আমি বলবো, সে খুব ভালো একজন ক্রিকেটার। প্রথম ম্যাচের পর তার সঙ্গে অল্প কথা হয়েছে আমার। আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছি, তার প্রচেষ্টা আমাদের সবাইকেও দারুণ অনুপ্রাণিত করেছে।’
১৮ বছর বয়সী মারুফার মাঝে বড় ক্রিকেটার হওয়ার তীব্র ক্ষুধা দেখতে পেয়েছেন স্মৃতি, ‘তার বয়স কত, এটা কোনও ব্যাপার না। মাঠে যেভাবে সে চেষ্টা করছে তা দেখা অসাধারণ। ভালো ক্রিকেটার হওয়ার জন্য যে আগুন দেখেছি, তা দারুণ। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলের অসাধারণ একজন ক্রিকেটার হয়ে উঠবে, বিশেষ করে বোলিং দিয়ে।’
ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার গতিময় উইকেটে মারুফার পারফরম্যান্স দেখার প্রত্যাশা ভারতের ভাইস ক্যাপ্টেনের, ‘এই ধরনের উইকেট অবশ্যই তাকে খুব একটা সহায়তা করছে না। দেখার অপেক্ষা থাকবে, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় সে কেমন করে।’
প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে হারানোর পথে মারুফা নেন চার উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচেও দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচ খেলে পেয়েছেন দুটি উইকেট।