বেশ চাপেই ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএল ফাইনালে ১৬তম ওভারে একশ’ ছোঁয়া দলটি শেষ পর্যন্ত ১৫৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়লো আন্দ্রে রাসেলের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে। ৬ উইকেট হারিয়ে তারা ফরচুন বরিশালকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে।
পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। একশ’ রানের আগেই পড়ে যায় তাদের পাঁচ উইকেট। ৭৯ রানে মঈন আলী পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ফিরে যাওয়ার পরও রাসেলকে ড্রেসিংরুমে বসে থাকতে দেখা ছিল বিস্ময়কর।
অবশেষে ১৭তম ওভারে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৬ রানের জুটি ভেঙে গেলো। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩৫ বলে ৩৮ রান করে সাইফউদ্দিনের কাছে বোল্ড হলেন।
২০ বল হাতে রেখে দেখা মিললো রাসেলের। তখন স্কোর ৬ উইকেটে ১১৫ রান। সেই দলটিই দেড়শ’ ছাড়িয়ে গেলো, যাতে অবদান ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটারের।
প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়েছিলেন রাসেল। পরের ওভারে স্ট্রাইকে গিয়েই হাঁকান ছক্কা। ১৯তম ওভারে জেমস ফুলারের মাথায় হাত। তিনটি বড় বড় ছয় মারেন রাসেল। ২১ রান আসে ওই ওভারে।
শেষ ওভারে রাসেলকে আটকাতে গিয়ে এক্সট্রা রান দেন সাইফউদ্দিন। প্রথম দুটি ওয়াইড ও নো বল, পরে আরও দুটি ওয়াইড দেন বাংলাদেশি বোলার। ওই ওভারে বাউন্ডারি না হলেও দেড়শ’ ছাড়ায় স্কোর।
রাসেল ১৪ বলে চার ছয়ে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২০ রানে খেলছিলেন জাকের। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ছিল ৩৯ রানের।