আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যখন চলবে, তখন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে গ্রীষ্মকাল। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কিন্তু বলা তো যায় না, যদি চলেই আসে! এই বিষয়টি ভেবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) রিজার্ভ ডে রেখেছে দুই সেমিফাইনাল ও ফা্ইনালের জন্য। কিন্তু সূচি এতটাই ঠাসা হয়েছে যে, রিজার্ভ ডেতে গড়ালে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল জয়ী দলকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ফাইনাল খেলতে হবে!
আগামী ২ জুন বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হবে বিশ্বকাপ। ২৭ জুন একই সময়ে প্রথম সেমিফাইনাল হবে। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল একই দিনে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে ২৮ জুন।
প্রথম সেমিফাইনাল যদি রিজার্ভ ডেতে যায়, তবে ২৮ জুন ভোরেই হবে ম্যাচের বাকি অংশ। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল রিজার্ভ ডেতে গড়ালে ওই দিন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় হবে ম্যাচ। সেক্ষেত্রে বিজয়ী দলকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ফাইনালে খেলতে হবে। শিরোপার লড়াই হবে ২৯ জুন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
শুধু সময় নিয়েই ঝামেলা নয়। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ী দলকে গায়ানার প্রভিডেন্স থেকে বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে গিয়ে ফাইনাল খেলতে হবে।
আর এই সূচির কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হবে ভারতকে, যদি তারা ফাইনালে ওঠে। সূচি অনুযায়ী, ভারত যদি সেমিফাইনালে ওঠে, তাহলে ২৭ জুন রাত সাড়ে ৮টার ম্যাচ খেলবে।
এমন পরিস্থিতি আগে কখনও তৈরি হয়নি। এর আগের বৈশ্বিক ইভেন্টগুলোতে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মধ্যে যথেষ্ট ফাঁকা সময় রাখা হয়েছিল। গত বছর ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হলো ১৬ নভেম্বর এবং ফাইনাল হয়েছে ১৯ নভেম্বর।
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ও ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হয়েছিল ১০ নভেম্বর, ফাইনাল ১৩ নভেম্বর। তারও আগে ২০২১ সালে আমিরাতে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল দুবাইতে হয়েছিল ১১ নভেম্বর, ফাইনাল হয়েছে একই ভেন্যুতে ১৪ নভেম্বর।