সাকিব আল হাসান বেশ আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতি টানবেন তিনি। নিজ মুখে বলা এই কথা সত্যি হলে এটাই তার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শনিবার ভারতের কাছে ৫০ রানে ম্যাচ হেরে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সাকিব। প্রশ্ন ওঠে, এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ কিনা? উত্তরে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
চলতি বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ বাদে তেমন কিছুই করতে পারেননি সাকিব। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এছাড়া নেপালের বিপক্ষে এক ওভারে দুই উইকেট নিলেও অন্য কোনও ম্যাচে বল হাতে প্রভাব রাখতে পারেননি। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে একমাত্র উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন। ভালো কিছু করে দেখানোর আশা ব্যক্ত করে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু পারলেন না। ২০২৬ সালের আসরে তার সামর্থ্য কতটা থাকবে, সেই শঙ্কা থাকছে। তাই এটাই শেষ আসর কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, ‘শেষ কি না জানি না। পৃথিবীতে যেকোনও কিছু হওয়া সম্ভব। সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড, আমারও কিছু সিদ্ধান্ত আছে।’
সাকিবকে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করার কথা মনে করিয়ে দিতেই বললেন, ‘বলেছিলাম, ওটা তখন পর্যন্ত চিন্তা। চিন্তা পরিবর্তন হতেই পারে। এসব নিয়ে চিন্তিত নই।’
সাকিব সবকিছুই সময়ের হাতে ছেড়ে দিচ্ছেন, ‘সামনে অনেক বড় বিরতি আছে। দল যদি মনে করে আমার দরকার আছে, আমি যদি মনে করি আমার দরকার আছে। উপভোগ না করলে অবশ্যই খেলার কথা না। এটা সময়ের ব্যাপার। সামনে বড় বিরতি আছে। টেস্ট ম্যাচ আছে। এটা সময়ের ওপর ছেড়ে দিই। সময় হলেই সবাই জানতে পারবে।’
অবশ্য বিশ্বকাপ শুরুর আগ দিয়ে বিসিবির প্রচারিত এক ভিডিওতে আরেকটি আসরে খেলার আশা ব্যক্ত করেছিলেন সাকিব। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘সম্ভবত সবগুলোতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা মাত্র দুজন খেলোয়াড় আমি এবং রোহিত শর্মাই। আশা করবো আরও একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি।’
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। সাকিবের কাছে এই ফল খুব একটা খারাপ নয়। মজা করে বললেন তিনি, ‘আমরা যেন কত রান করেছি? ৬ ম্যাচে ৩ জয় ৩ হার, খুব একটা খারাপ না।'