সংক্ষিপ্ত স্কোর: দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ২৩ ওভারে ৮১/৩, লিড ৩০৮ (পান্ত ১২*, গিল ৩৩*: রোহিত ৫, জয়সওয়াল ১০, কোহলি ১৭)
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৭.১ ওভারে ১৪৯/১০ ( মিরাজ ২৭*; সাদমান ২, জাকির ৩, মুমিনুল ০, শান্ত ২০, মুশফিক ৮, লিটন ২২, সাকিব ৩২, হাসান ৯, তাসকিন ১১, নাহিদ ১১)
প্রথম ইনিংসে ভারত ৯১.২ ওভারে ৩৭৬/১০ (সিরাজ ০*; রোহিত ৬, গিল ০, কোহলি ৬, পান্ত ৩৯, জয়সওয়াল ৫৬, রাহুল ১৬, জাদেজা ৮৬, আকাশ ১৭, অশ্বিন ১১৩, বুমরা ৭)
চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিন বোলারদের বলা চলে। ১৭ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন এদিন তারা। বাংলাদেশের পড়েছে ১০ উইকেট, ভারতের ৭ উইকেট। তবে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন স্বাগতিকদের হাতে।
চেপুকে আজ ফাস্ট বোলাররা নিয়েছেন ১৪ উইকেট, ২০০৬ সালের পর ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ভারতকে চারশ রানের আগেই অলআউট করার। ৩৩৯ রানে ছয় উইকেটে দিন শুরু করা ভারত ৩৭৬ রানে অলআউট হয়। আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে হাসান মাহমুদ বলেছিলেন, উইকেট ব্যাটারদের জন্য ভালো। তাই বাংলাদেশও সুবিধা পাবে। কিন্তু তাদের জন্য উইকেট হয়ে উঠেছিল বিপদজনক। যশপ্রীত বুমরা, আকাশ দীপ ও রবীন্দ্র জাদেজার সামনে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৪৯ রানে অলআউট হয় তারা।
বাংলাদেশকে ফলোঅনে পাঠানোর সুযোগ ছিল ভারতের। কিন্তু তারা ২২৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে বাংলাদেশ দ্রুত ফেরাতে পারলেও ম্যাচ স্বাগতিকদের হাতের মুঠোতে আছে। ২৩ ওভার খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮১ রানে দিন শেষ করেছে তারা। ৩০৮ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে ভারত। পান্ত ১২ ও গিল ৩৩ রানে অপরাজিত আছেন।
স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
দিনের শেষভাগে মিরাজের শিকার কোহলি
২৮ রানে দুই উইকেট পড়ার পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন কোহলি-গিল। ৩৯ রান যোগ করেন তারা। দিনের শেষ ভাগে এসে এই জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন বিরাট কোহলি। তাতে টানা দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারেননি ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৩৭ বল খেলে এবার আউট হয়েছেন ১৭ রানে।
তাসকিনের পর উইকেট শিকারে নাহিদ
তাসকিনের ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার পর দ্বিতীয় সাফল্য পেতেও দেরি হলো না বাংলাদেশের। অবশ্য তার আগেই লিড ২৫০ ছাড়িয়েছে স্বাগতিক দল। সপ্তম ওভারে নাহিদ রানার শিকারে পরিণত হন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। প্রথম ইনিংসের হাফসেঞ্চুরিয়ান এবার অবশ্য মাত্র ১০ রানে থেমেছেন। রানার ফুলার লেংথের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হয়েছেন।
শুরুতেই তাসকিনের শিকার রোহিত
বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে ভারত। যদিও এবারও খুব একটা সুবিধা করতে পারলেন না ওপেনার রোহিত শর্মা। তৃতীয় ওভারে তাসকিনের শর্ট লেংথের বল ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে তৃতীয় স্লিপে থাকা জাকিরের হাতে। তাতে ৫ রানে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
১৪৯ রানেই শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস
ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে রুখে দিলেও ব্যাট হাতে ভীষণভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানেই গুটিয়ে গেছে। স্বাগতিকরা অবশ্য বাংলাদেশকে ফলোঅন করাচ্ছে না। ২২৭ রানের লিড নিয়ে আবার ব্যাট করতে নামছে।
শুরুতেই ভারতকে কাঁপিয়ে দেন বুমরা, আকাশ দীপ। ৪০ রানে পড়ে বাংলাদেশের পাঁচ উইকেট। তার পর লিটন-সাকিব সম্ভাবনা জাগালেও বাজে শট সিলেকশনে উইকেট বিলিয়ে দেওয়াতে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। এই জুটি ভাঙতেই প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়ে। সর্বোচ্চ স্কোর বলতে সাকিবের ৩২। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য লিটন ২২ ও শান্ত ২০ রান করেছেন। একপ্রান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ২৭* রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ।
৪৭.১ ওভারে মোহাম্মদ সিরাজ নাহিদ রানার উইকেট তুলে নিতেই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে থেমেছে। জসপ্রীত বুমরা ৫০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুটি করে নিয়েছেন সিরাজ, আকাশ দীপ ও রবীন্দ্র জাদেজা।
তাসকিনের বিদায়ে পড়লো ৯ উইকেট
শেষটায় বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন তাসকিন-মিরাজ। যদিও বেশিক্ষণ পারেননি। তাসকিনকে ফিরিয়ে নবম উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন বুমরা। দারুণ এক ইয়র্কারে তাসকিনকে (১১) বোল্ড করেছেন। নবম উইকেটে ১৮ রান যোগ করেছেন তারা।
৮ উইকেট হারিয়ে চায়ের বিরতিতে বাংলাদেশ
৪০ রানে পাঁচ উইকেট পড়ার পর পঞ্চাশ রানের জুটিতে পাল্টা প্রতিরোধের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন লিটন-সাকিব। কিন্তু দুজনে বিলাসী সুইপ শট খেলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরলে সব কিছুরই ইতি ঘটেছে দ্বিতীয় সেশনে। তাদের আউটের পর এই সেশনেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনে পড়ার শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ দল। চায়ের বিরতিতে যাওয়ার আগে বুমরার ওভারে সেশনের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হাসান মাহমুদ। তার বিদায়ে সফরকারীদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩৬.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১১২ রান।
এই সেশনে ২৭.৫ ওভার খেলা হয়েছে। ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যোগ করেছে ৮৬ রান। সফরকারীরা এখনও ২৬৪ রানে পিছিয়ে। ফলোঅন এড়াতে প্রয়োজন ৬৫ রান।
সাকিবের বিদায়ে নেই ৭ উইকেট, ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ
লিটনের বিদায়ে ভেঙেছে সম্ভাবনাময় জুটি। সেটা ছিল বাটে শট নির্বাচনে। সাকিবও আউট হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাজে শট খেলতে গিয়ে। এবারও হন্তারক জাদেজা। সাকিব রিভার্স সুইপ করতে গেলে বল জুতোয় লেগে উপড়ে উঠলে সেটা সহজেই হাতে জমান উইকেট কিপার ঋষভ পান্ত। তাতে ৬৪ বলে ৩২ রানে শেষ হয় সাকিবের ইনিংস। ৯২ রানে ৭ উইকেট পড়ায় ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছে সফরকারী দল।
লিটনের বিদায়ে ভাঙলো ৫১ রানের জুটি
৪০ রানে পড়ে পাঁচ উইকেট। তার পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। ষষ্ঠ উইকেটে ৫১ রান যোগ করেন তারা। ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও তাদের প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি লিটন দাস বিলাসী শট খেলার চেষ্টা করলে। রবীন্দ্র জাদেজার বল উড়িয়ে মেরে খেলতে গিয়ে জুরেলের হাতে তালুবন্দি হয়েছেন তিনি। তাতে ৪২ বলে ২২ রানে কাটা পড়েন লিটন।
৫ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে বাংলাদেশ
৪ উইকেট হারিয়ে এমনিতেই বিপদে ছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম সেই বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করতে পারেননি। বরং দ্রুত সময়ে বুমরার বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ আউট হয়েছেন। মাত্র ১৪ বল স্থায়ী হয়েছে মুশফিকের ইনিংস। তাতে লাঞ্চের পর পরই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে সফরকারী দল।
লাঞ্চ থেকে ফিরেই আউট শান্ত
লাঞ্চের আগেই দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে তাদের আরও বিপদে ফেললেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তার ইনিংস। মোহাম্মদ সিরাজের বল একটু এগিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ আউট হয়েছেন তিনি। শান্ত ফেরার আগে ৩০ বলে ২০ রান করেছেন। তাতে ছিল ৩টি চারের মার।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশ
ভারতকে প্রথম সেশনে দ্রুত অলআউট করতে পারলেও ব্যাটিংয়ে নেমে কঠিন চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে সফরকারীরা। প্রথম সেশন শেষে সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ৯ ওভারে ৩ উইকেটে ২৬ রান। তারা এখনও পিছিয়ে ৩৫০ রানে।
প্রথম ওভারেই সাদমানকে তুলে নেন জসপ্রীত বুমরা। তার পর জাকির, শান্ত মিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সেটা। লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে জোড়া আঘাতে বাংলাদেশের টপ অর্ডার কাঁপিয়ে দেন পেসার আকাশ দীপ। পর পর দুই ডেলিভারিতে জাকির হাসান (৩) ও মুমিনুল হককে (০) বোল্ড করেন তিনি।
এই সেশনে মোট ৭ উইকেট পড়েছে। প্রথমে এক ঘণ্টারও বেশি সময়ে ভারতের শেষ ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তার পর শেষ ৪৫ মিনিটে সফরকারী দল হারায় টপের তিন উইকেট। তাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে পেরেছে স্বাগতিক দল।
প্রথম ওভারেই সাজঘরে সাদমান
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতকে ৩৭৬ রানে অলআউট করলেও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই জসপ্রীত বুমরার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। বেশ কয়েকটি বল আউট সুইঙ্গার দিলেও বুমরার এই ডেলিভারিটি ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। ফলে তার বলের লাইন বুঝতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন সাদমান।
হাসানের ৫ উইকেট শিকারের পর ৩৭৬ রানে থামলো ভারত
দ্বিতীয় দিন ভারতকে দ্রুত বেঁধে ফেলার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তাতে সফলও হয়েছে। নতুন বল হাতে পেয়ে প্রথম ঘণ্টায় তাসকিনের আঘাতে শুরুতে ভাঙে অশ্বিন-জাদেজার ১৯৯ রানের জুটি। ছন্দে থাকা তাসকিন তার পর আকাশ, অশ্বিনকেও সাজঘরে পাঠালেন। তার পর বুমরার উইকেট নিয়ে হাসান মাহমুদ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পঞ্চম উইকেট শিকার করলে ৩৭৬ রানে শেষ হয়েছে ভারতের প্রথম ইনিংস।
২২.২ ওভার বল করে ৪ মেডেনে ৮৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন হাসান। গতকাল কোনও উইকেট না পাওয়া তাসকিন ২১ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে নিয়েছেন নাহিদ রানা ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
অশ্বিনকে ১১৩ রানে থামালেন তাসকিন
বাংলাদেশের কাছ থেকে মোমেন্টাম কেড়ে নেওয়ার পেছনে মূল অবদান ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। ঘরের ছেলে সেঞ্চুরি তুলে দ্বিতীয় দিনও রান বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে খেলছিলেন। এমনকি অপরপ্রান্ত নড়বড়ে হওয়ার পরও। সকাল থেকে টানা সফল তাসকিন তাকে ১১৩ রানে থামিয়েছেন অবশেষে। মেরে খেলতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ভারতের অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। তার ১৩৩ বলের ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও ২টি ছয়।
আকাশকেও বিদায় দিলেন তাসকিন
সকালের শুরুতে বড় জুটি ভাঙার পর পেসার আকাশ দীপকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ। অবশ্য তার আগে মারকুটে ব্যাটিংয়ে বেশ কিছু রান যোগ করেছেন। ৮৮.৫ ওভারে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আকাশ। তার ক্যাচ নিতে কোনও ভুল করেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ফেরার আগে আকাশ ৩০ বলে ১৭ রান করেছেন।
আকাশের ক্যাচ ছাড়লেন সাকিব
৮৫তম ওভারে ৮ রানে ব্যাট করছিলেন নতুন ব্যাটার আকাশ দীপ। তাসকিনের বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন এই পেসার। দুর্ভাগ্য সাকিব সেই ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি।
ভারতের ১৯৯ রানের জুটি ভেঙে দ্বিতীয় দিন শুরু বাংলাদেশের
চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথম দিন দারুণভাবে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদের দারুণ বোলিংয়ে স্বাগতিকদের চেপে রাখা গেলেও পরে সেই নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয় অশ্বিন-জাদেজার অনবদ্য জুটির কল্যাণে। দ্বিতীয় দিন অবশ্য ভারতকে দ্রুত অলআউটের লক্ষ্যে নামতে এই জুটি ভাঙা প্রয়োজন। তাতে সকালের শুরুতেই সফল হয়েছে সফরকারী দল। তাসকিনের আঘাতে ভেঙেছে ১৯৯ রানের সপ্তম উইকেট জুটি।
সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া জাদেজা ৮৬ রানে এজ হয়ে লিটনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন। তার ১২৪ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও দুটি ছয়।
অথচ গতকাল পরিস্থিতি এমন ছিল না। সকাল ও দুপুরের সেশনে ভারতের স্কোরবোর্ডে এসেছে সমান ৮৮ রান করে, উইকেটও পড়েছে তিনটি। কিন্তু শেষ সেশনে কোনও উইকেট না হারিয়ে এলো ১৬৩ রান! সপ্তম উইকেটের জুটিতে স্বাগতিকরা শুধু বিপদই কাটিয়ে উঠেনি, নিয়েছে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। ১০২ রানে অশ্বিন ও ৮৬ রানে জাদেজা অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিন জাদেজা আর রান যোগ করতে পারেননি। প্রথম দিন ভারত ৮০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানে দিন শেষ করেছিল।
বাংলাদেশের পক্ষে হাসান চার উইকেট নিয়েছিলেন। নাহিদ রানা ও মেহেদী হাসান মিরাজ পান একটি করে উইকেট। ৮ ওভার বোলিং করে সাকিবের ইকোনমি রেট সর্বোচ্চ ৬.২৫, ৫০ রান দেন তিনি।