স্কোর: বাংলাদেশ ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩/১০ (মোস্তাফিজ ৩*, শরিফুল ১, হৃদয় ১১, তাসকিন ০, রিশাদ ১, মুশফিক ১, মাহমুদউল্লাহ ২, মিরাজ ২৮, শান্ত ৪৭, সৌম্য ৩৩, তানজিদ ৩)
আফগানিস্তান ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫/১০ (খারোটে ২৭*; খারোটে ০, গজনফর ০, নবী ৮৪, রশিদ ১০, হাশমতউল্লাহ ৫২, গুলবাদিন ২২, গুরবাজ ৫, রহমত ২, সেদিকুল্লাহ ২১, আজমতউল্লাহ ০)
ফল: আফগানিস্তান ৯২ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: আল্লাহ গজনফর (২৬/৬)
শারজায় বাংলাদেশের অদ্ভুত এক সময় কাটলো। বোলিংয়ে দারুণ শুরুর পর মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি। একই অবস্থা ব্যাটিংয়েও। লক্ষ্যটা তেমন কঠিন ছিল না। ২৩৬ রান লাগতো প্রথম ওয়ানডে জিততে। সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে দুটি পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে বাংলাদেশকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২ উইকেটে স্কোর ছিল ১২০। মোহাম্মদ নবীর বলে ৪৭ রানে শান্ত ফিরতেই ধস শুরু। আল্লাহ গজনফরের স্পিন বিষে নীল বাংলাদেশ। ২৩ রানে হারালো তারা শেষ ৮ উইকেট! ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হলো বাংলাদেশ। ৯২ রানে জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শুভ সূচনা করলো আফগানিস্তান।
গজনফর ৬.৩ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেন। এছাড়া রশিদ খান দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন।
এর আগে মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে ৩৫ রানে চার উইকেট হারায় আফগানিস্তান। সেখান থেকে নবী ও হাশমতউল্লাহ শহীদীর শতাধিক রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের বোলিংয়ে ২৩৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা।
গজনফরের পাঁচ উইকেট
৩৩তম ওভারে ব্যাটিং ধসের শিকার বাংলাদেশ। প্রথম বলে আল্লাহ গজনফরের ক্যারম বল মারতে গিয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসলেন মুশফিকুর রহিম। ইকরাম্ আলীখিল বল হাতে নিয়েই স্টাম্প ভেঙে দিলেন। মাত্র ১ রান করে আউট বাংলাদেশের ব্যাটার। একই ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আপিলে সফল হন গজনফর। বাংলাদেশি ব্যাটার রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে বিদায় নেন। পরের বলে তাসকিন আহমেদকে বোল্ড করে নিজের পঞ্চম উইকেট পান আফগান অফব্রেকার।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে রশিদ খান বোল্ড করেন তাওহীদ হৃদয়কে। ১৯ রানের ব্যবধানে সাত উইকেট হারিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারালো বাংলাদেশ। ১৩৯ রানে নেই ৯ উইকেট।
রশিদের বলে বোল্ড মাহমুদউল্লাহ, বিপদে বাংলাদেশ
২ উইকেটে ১২০ রান করা বাংলাদেশ ১৫ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে। মোহাম্মদ নবীর বলে নাজমুল হোসেন শান্তর (৪৭) দারুণ ইনিংসের সমাধি ঘটে। তারপর মেহেদী হাসান মিরাজও (২৮) ফিরে গেছেন দ্রুত। সবশেষ রশিদ খানের গুগলিতে বোল্ড হলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৩৫ রানে ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। ৫ বল খেলে মাত্র ২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
আজমতউল্লাহর দুর্দান্ত ক্যাচে থামলেন মিরাজ
শান্তর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফেরার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। আল্লাহ গজনফরের বলে ৩১তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে মাঠ ছাড়লেন তিনি। শর্ট ফাইন লেগ থেকে বাঁ দিকে দৌড়ে গিয়ে ফাইন লেগের কাছে বল লুফে নেন আফগান ফিল্ডার। ৫১ বলে ১ ছয়ে ২৮ রান করেন মিরাজ। ৩০.৪ ওভারে ১৩২ রানে চার উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
শান্তকে তিন রানের আক্ষেপে পোড়ালেন নবী
নবম হাফ সেঞ্চুরির দিকে ভালোভাবে ছুটছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৬তম ওভারে দুর্ভাগ্যের শিকার হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মোহাম্মদ নবীর বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে হাসমতউল্লাহ শহীদীর ক্যাচ হন তিনি। শান্ত ৪৭ রান করে থামেন। ৬৮ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংস। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক। দলীয় ১২০ রানে ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
শান্তর চারে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি
৬৫ রানে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারালেও নির্ভার থেকে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে দলীয় স্কোর একশতে নেন। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তার জুটি ৩০ পার করেছে।
সৌম্যর বিদায়ে ভাঙলো ৫৩ রানের জুটি
১২তম ওভারে আফগানিস্তান সহজ সুযোগ নষ্ট করলে ২১ রানে জীবন পান নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় বলে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে হুক করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। উইকেটকিপার ইকরাম আলীখিল দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গ্লাভস ফসকে বল পড়ে যায়।
আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের একই ওভারে পঞ্চম বলে সৌম্যর বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আপিল করে আফগানিস্তান। আম্পায়ার নটআউট দিলে রিভিউ নেয় তারা, কিন্তু সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষে আসেনি। পরের বলেই সৌম্য পুল শট খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে ফজলহক ফারুকির ক্যাচ হন। ৪৫ বলে ৬ চারে ৩৩ রানের চমৎকার ইনিংসের ইতি ঘটে। ১২ ওভারে ৬৫ রানে ২ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। শান্তর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৩ রানের।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৫৪
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ১২ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। তানজিদ হাসান তামিমের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ক্রিজে নামেন। সৌম্য সরকারকে নিয়ে তিনি শুরুর ধাক্কা সামলে নিচ্ছেন। একপ্রান্তে তিনি সতর্ক ব্যাটিং করলেও সৌম্য রানের গতি ধরে রেখেছেন। নবম ওভারে পরপর ছয় ও চার মেরে দলীয় স্কোর পঞ্চাশ পার করেছেন শান্ত। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৪ রান।
১২ রানে ভাঙলো বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি
ওয়াইডে বাংলাদেশ রানের খাতা খোলে প্রথম ডেলিভারিতে। ফজলহক ফারুকির বৈধ প্রথম ডেলিভারিতে চার মারেন সৌম্য সরকার। এরপর সিঙ্গেল, ডাবলসে বাংলাদেশ রানের চাকা চালু রাখে। তিন ওভারে ১২ রান আসে। সতর্ক ব্যাটিং করলেও ওপেনিং জুটি বড় অবদান রাখতে পারেনি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে আল্লাহ গজনফরের কাছে বোল্ড হন তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দিলো আফগানিস্তান
মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে শুরুতে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। ৩৫ রানে চার উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধের শুরু। গুলবাদিন নাইবের সঙ্গে হাশমতউল্লাহ শহীদীর ৩৬ রানের জুটি। এরপর মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে আফগান অধিনায়ক আরও ১০৪ রান যোগ করেন। দুজনেই করেন হাফ সেঞ্চুরি। ডেথ ওভারে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও শেষ দিকে নানগেলিয়া খারোটের ক্যামিও ইনিংসে ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ রান করে অলআউট আফগানিস্তান। প্রথম ওয়ানডেতে জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৩৬ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে চারটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
তাসকিনের জোড়া আঘাত
১৭তম হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরি বানানোর পথে ছিলেন মোহাম্মদ নবী। তাসকিন আহমেদের বলে আক্ষেপে ভাসতে হলো তাকে। ৮৪ রান করে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হলেন আফগান ব্যাটার। ৪৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আফগানিস্তান ২১৯ রানে ৮ উইকেট হারায়। ৭৯ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয়ে ইনিংস সেরা ব্যাটিং করেন নবী। পরের বলে আল্লাহ গজনফরকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন তাসকিন। ফজলহক ফারুকি ডিফেন্সিভ শটে হ্যাটট্রিক হয়নি।
একই ওভারের শেষ বলে ফারুকির বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন করে ইতিবাচক সাড়া পান তাসকিন। কিন্তু তাকে হতাশ করে রিভিউ নিয়ে সফল হন আফগান ব্যাটার। বল ইনলাইনে থাকলেও উইকেট মিসিং ছিল।
এই উইকেট বাঁচিয়েই আফগানিস্তান আরও ১৫ রান তোলে। খারোটে মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ ওভারে একটি ছয় ও চার মারেন। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ফারুকি রান আউট হলে থামে তারা।
আফগানিস্তানের দুইশ
৪৬তম ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তান ২০০ রানের ঘরে পৌঁছালো। ৭৭ রানে অপরাজিত আছেন মোহাম্মদ নবী। ২ রানে খেলছেন নানগেয়ালিয়া খারোটে।
শরিফুলের বলে মোস্তাফিজের ক্যাচ রশিদ
ষষ্ঠ উইকেট পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। হাশমতউল্লাহ শহীদীকে আউট করে ১০৪ রানের জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। সপ্তম উইকেট পেতেও তিনি ভূমিকা রাখলেন। ৪৩তম ওভারে রশিদ খান তার ক্যাচ হন। টেনিসের ফোরহ্যান্ডের মতো শট খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন রশিদ খান। ১০ বলে ১০ রান করে শরিফুল ইসলামের শিকার হলেন তিনি। ৪২.৪ ওভারে ১৮৯ রানে ৭ উইকেট হারালো আফগানিস্তান।
১০৪ রানের জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ
মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম দুই ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তার ওই ক্ষুরধার বোলিং সামলে আফগানিস্তান ঘুরে দাঁড়ায়। হাশমতউল্লাহ শহীদী ও মোহাম্মদ নবী ষষ্ঠ উইকেটে জুটি একশ রান ছাড়িয়ে নেন। তারপরই মোস্তাফিজের আঘাত। ৯২ বলে ২ চারে ৫২ রান করে বোল্ড হন হাশমতউল্লাহ। ১২২ বলে ১০৪ রানের জুটি ভাঙলেন বাংলাদেশের কাটারমাস্টার। ৪১তম ওভারে দলীয় ১৭৫ রানে ৬ উইকেট হারালো আফগানিস্তান।
নবীর পর হাশমতউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি
৫২ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করলেন মোহাম্মদ নবী। ৩৭তম ওভারে ডাবলস নিয়ে ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটির দেখা পান আফগানিস্তান ব্যাটার। পরের বলেই তাকে ফেরানোর সুযোগ হারান মাহমুদউল্লাহ। সময়মতো বলের কাছে আসতে পারেননি তিনি। নবীর সুইপে লং অফে তার কয়েক ইঞ্চি সামনে পড়ে বল।
৩৯তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ২২তম হাফ সেঞ্চুরি করেন হাশমতউল্লাহ শহীদী, খেলেছেন ৮৭ বল। ছিল দুটি চার।
হাসমতউল্লাহ-নবী জুটির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান
৭১ রানে আফগানিস্তান ৫ উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়েছে। হাসমতউল্লাহ শহীদী অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছেন। ষষ্ঠ উইকেটের এই জুটি ৫৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে।
আফগানিস্তানের স্কোর একশ ছাড়ালো
৩৫ রানে আফগানিস্তান চার উইকেট হারালে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল। কিন্তু অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদী প্রতিরোধ গড়েছেন। গুলবাদিন নাইবের সঙ্গে ত্রিশ ছাড়ানো জুটির পর মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে হাল ধরেন তিনি। ২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে দলীয় স্কোর একশতে নেন আফগান অধিনায়ক।
আফগান প্রতিরোধ ভাঙলেন তাসকিন
হাশমতউল্লাহ শহীদী ও গুলবাদিন নাইবের প্রতিরোধ লম্বা হতে দিলো না বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ তার ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ৬১ বলে ৩৬ রানের জুটি ভেঙে দিয়েছেন। ৩২ বলে ৩ চারে ২২ রান করে শর্ট মিড উইকেটে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হন গুলবাদিন। ২০তম ওভারের শেষ বলে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারালো আফগানিস্তান।
চার উইকেট হারিয়ে পঞ্চাশ ছুঁলো আফগানিস্তান
মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বিপদে পড়েছিল আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৩৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় তারা। বাংলাদেশের কাটার মাস্টার তার প্রথম দুই ওভারে তিন উইকেট তুলে নেন। এরপর হাশমতউল্লাহ শহীদী ও গুলবাদিন নাইবের জুটিতে পঞ্চাশ ছুঁলো আফগানরা, এজন্য খেলেছে ৮০ বল।
মোস্তাফিজের আঘাতে বিপদে আফগানিস্তান
বল হাতে নিয়েই প্রথম ওভারে আঘাত হেনেছেন মোস্তাফিজ। এক ওভার বিরতি দিয়ে জোড়া আঘাত হেনেছেন তিনি। তাতে কাটার মাস্টারের তোপে কাঁপছে আফগান দল। দ্বিতীয় বলে অভিষিক্ত সেদিকুল্লাহ অটলকে (২১) লেগ বিফোরে ফিরিয়েছেন। দুই বল পর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে রানের খাতা খুলবার আগে মুশফিকের গ্লাভস বন্দি করালে ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। ১ রানে পড়েছে দুই উইকেট।
বল হাতে নিয়েই মোস্তাফিজের আঘাত
৭ রানে ওপেনার গুরবাজের আউটের পর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন সেদিকুল্লাহ অটল ও রহমত শাহ। যদিও রহমতকে বেশি দূর যেতে দেননি মোস্তাফিজ। নিজের প্রথম ওভারেই দ্বিতীয় ডেলিভারিতে রহমত শাহকে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন। তাতে ৩০ রানে পড়েছে দ্বিতীয় উইকেট। রহমত আউট হয়েছেন মাত্র ২ রানে।
দ্বিতীয় ওভারেই তাসকিনের আঘাত
টস জিতে আফগান দল ব্যাটিংয়ে নামলেও দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হেনেছেন তাসকিন আহমেদ। ১.৫ ওভারে যথেষ্ট বাইরে ফুলার লেংথে বল করেছিলেন। গুরবাজ এগিয়ে এসে ড্রাইভ করতে গেলে বল ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ফেরার আগে ৫ রান করেছেন গুরবাজ।
একাদশে কারা
বাংলাদেশ একাদশে তিন পেসার হিসেবে থাকছেন মোস্তাফিজ, তাসকিন ও শরিফুল। স্পিনার হিসেবে থাকছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লেগ স্পিনার রিশাদ।
আফগানিস্তান দলে অভিষেক হচ্ছে সেদিকুল্লাহ অটলের। গোড়ালির চোটে ইব্রাহিম জাদরানের খেলা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ: সেদিকুল্লাহ অটল, রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদী, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, এএম গজনফর, নানগেয়ালিয়া খারোটে, ফজল হক ফারুকি।
প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরেছে বাংলাদেশ
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান। টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদী।
শারজায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ইনিংসে টার্ন আশা করছেন আফগান অধিনায়ক। তাই শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এখানে উল্লেখ্য ইতিহাসের প্রথম স্টেডিয়াম হিসেবে ৩০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের কীর্তি অর্জন করেছে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম।