পারভেজ হোসেন ইমন তার ক্যারিয়ারের সপ্তম টি-টোয়েন্টিতে পেলেন প্রথম সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এটি তার প্রথম শতক। বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে তিনি একাই লড়লেন। তার ঝলমলে ইনিংসে দল করে ১৯১ রান। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিঘাত করলেও পেরে ওঠেনি শেষ পর্যন্ত। একে তো প্রথম সেঞ্চুরি, সেটাও আবার ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিলো। এই সেঞ্চুরিকে হৃদয়ের বিশেষ জায়গায় রাখবেন বাংলাদেশি ওপেনার।
৫৪ বলে ১০০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইমন। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বললেন, ‘আমার জন্য অবশ্যই এটা বিশেষ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা আমার প্রথম সেঞ্চুরি। তাই এটি আমার জন্য বিশেষ হয়ে থাকবে। আমি উইকেট মূল্যায়ন করে আমার প্রক্রিয়া অনুসারে থেকে যেতে চেষ্টা করেছিল, পরিকল্পনায় লেগে ছিলাম। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’
ইমনকে প্রশংসায় ভাসালেন অধিনায়ক লিটন দাস, ‘ব্যাট করার জন্য উইকেট ভালো মনে হয়েছিল। যেভাবে ইমন খেলেছে, সেটা দেখা সত্যিই চমৎকার।’ তবে অন্যদের ব্যর্থতার হতাশা লুকাননি ম্যাচে মাত্র ১১ রান করা এই ব্যাটার, ‘কিন্তু আমাদের ভালোভাবে শেষ করতে হতো, কারণ শেষ তিন উইকেটে আমরা ওতো বেশি রান করতে পারিনি।’
তবে বোলাররা ভালো পারফরম্যান্স করায় খুশি লিটন, ‘আমি জানি আমার বোলাররা যে কোনও সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে। একই সময়ে আমিরাতের ব্যাটাররা ভালো খেলেছে। মাঝের ওভারগুলোতে যেভাবে তারা ব্যাট করেছে, তাতে কৃতিত্বের দাবি রাখে তারা।’
বোলারদের ওপর আস্থা ছিল অধিনায়কের, ‘অবশ্যই আত্মবিশ্বাস ছিল। যেভাবে সবাই বল করলো মাথা ঠাণ্ডা রেখে। মাঝের দিকে ম্যাচ ছিল ফিফটি ফিফটি। কিন্তু সব বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে ওই সময়ে। এটা ছিল চমৎকার।’
সমর্থকদের সমর্থন নিয়ে তিনি বললেন, ‘যেখানেই আমরা খেলতে যাই, আমাদের সমর্থকরা আসে এবং খেলা উপভোগ করে। তাদের সমর্থন সত্যিই দারুণ ব্যাপার।’