ইংল্যান্ডে চার দিনের টেস্ট শেষ হলো একদিন আগেই। ট্রেন্ট ব্রিজে শনিবার তৃতীয় দিনে জিম্বাবুয়ের শেষ লড়াইয়ের কারিগর সিকান্দার রাজা দেরি করেননি। পরের দিন পিএসএল ফাইনাল, লাহোর কালান্দার্সে যোগ দিতে উড়াল দিলেন। রবিবার টসের ১০ মিনিট আগে পাকিস্তানে পা রাখেন তিনি। টসের সময় অধিনায়কের হাতে ছিল দুটি একাদশের তালিকা, একটিতে ছিলেন রাজা, আরেকটিতে রাখা হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়েই মাঠে নামে লাহোর এবং সিদ্ধান্তটা মোটেও ভুল ছিল না। এই জিম্বাবুয়ান অলরাউন্ডারের ব্যাটেই শেষ ওভারে নাটকীয় জয়ে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো লাহোর।
আগে ব্যাটিং করে হাসান নওয়াজের বিস্ফোরক ইনিংসে কোয়েটা ২০১ রান করে। শাহীন আফ্রিদি বাদে অন্য বোলারদের মতো খরুচে ছিলেন রাজাও। সেই প্রায়শ্চিত্ত তিনি ঠিকই করেছেন দলকে জিতিয়ে। দুই দলই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে। কুশল পেরেরা একপ্রান্ত থেকে রানের চাকা সচল রাখলেও শেষ দিকে ম্যাচ কিছুটা কোয়েটার নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল। রাজা নেমেই দৃশ্যপট পাল্টে দেন।
১৬.৪ ওভার শেষে লাহোরের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৪৫ রান। ভানুকা রাজাপাকসা (১৪) আউট হলে মাঠে নেমেই মোহাম্মদ আমিরকে টানা চার-ছয় মারেন রাজা।
পরের ওভারে কুশল পেরেরা দুটি ছয়ে তুলে নেন ১৬ রান। শেষ দুই ওভারে লাহোরের লাগে ৩১ রান। ১৯তম ওভারে আমিরের বলে কুশল ২ চার ও এক ছয়ে ১৮ রান তুললে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় কোয়েটা।
শেষ ওভারে ১৩ রানের প্রয়োজন ছিল। ফাহিম আশরাফের প্রথম তিন বলে প্রান্ত অদলবদল করে কুশল ও রাজা ৫ রান তোলেন। চতুর্থ বলে ডিপ কভার পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা মারেন জিম্বাবুয়ান ব্যাটার। তারপর চার মেরে এক বল হাতে রেখে দলের শিরোপা নিশ্চিত করেন তিনি। ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৪ রান করে লাহোর।
৭ বলে দুটি করে চার-ছয়ে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন রাজা। তার আগে দারুণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচ হাতছাড়া হতে দেননি কুশল, ৩১ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার।
টপ অর্ডারে মোহাম্মদ নাঈম ২৭ বলে ১ চার ও ৬ ছয়ে ৪৬ রানে দারুণ শুরু এনে দেন। ২৮ বলে ৪১ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক।
দারুণ এই জয়ে পিএসএলে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন সাকিব ও রিশাদ হোসেন। ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে অবদানর রাখেন রিশাদ। দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি।