সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১৯.২ ওভারে ১৬৪/১০
পাকিস্তান ২০ ওভারে ২০১/৭ (ফখর ১, সাইম ০, হারিস ৩১, সালমান ৫৬, নওয়াজ ৪৪, শাদাব ৪৮, খুশদিল ৫, ফাহিম ১১*, হাসান ১*; শরিফুল ২/৩২)
ফল: পাকিস্তান ৩৭ রানে জয়ী।
হাসান আলীর ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বাংলাদেশ ২০২ রানের কঠিন লক্ষ্য পূরণে সফল হলো না। ৩৭ রানে হার মেনেছে তারা। ১৯.২ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট সফরকারীরা। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান।
এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরে হাসান প্রথমবার ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫ উইকেট নিলেন। ৩.২ ওভারে ৩০ রান দিয়ে পাকিস্তানের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের নায়ক তিনি।
শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে শরিফুল ইসলামকে ৫ রানে শাদাব খানের ক্যাচ বানান হাসান। বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়ে ফাইফারের দেখা পান তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে ভালো শুরু করেছিল। তারপর লিটন দাসের ব্যাটে ২ উইকেটে ১০০ করে তারা। শাদাব খান ব্রেকথ্রু আনেন, বাংলাদেশ অধিনায়ক ৪৮ রানে তার শিকার হতেই শুরু হয় বিপর্যয়। জাকের আলী ২০ বলে ৩১ রান করেন। ১৮তম ওভারে তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের শেষ লড়াই থামান হাসান। একই ওভারে তিনি আরেকটি উইকেট নেন। শেষ ওভারে বাংলাদেশের দশম উইকেট নিয়ে হাসান জয় এনে দেন।
মেহেদী আউট, ৯ উইকেট পড়লো বাংলাদেশের
ফাহিম আশরাফের বলে হাসান নওয়াজের ক্যাচ হলেন মেহেদী হাসান। ১৮.৫ ওভারে ১৫৯ রানে ৯ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
হাসানের জোড়া আঘাতে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে জাকের আলী কঠিন সময়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন। ১২৪ রানে দল ৬ উইকেট হারানোর পর বিরতি দিয়ে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকান। তবে হাসান আলী শেষ স্পেলে বল হাতে নিয়ে তাকে ফেরালেন। ২১ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ৩৬ রানে থামলেন জাকের। ১৭.২ ওভারে ১৪৮ রানে সপ্তম উইকেট হারালো বাংলাদেশ। দুই বল পর তানজিম হাসান সাকিবকে ফিরতি ক্যাচে ১ রানে থামান হাসান। ১৭.৪ ওভারে ১৪৯ রানে আট উইকেট নেই বাংলাদেশের। পাকিস্তানি পেসার তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বার চার উইকেট নিলেন। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৮ রানে চার উইকেট নেন।
এবার রিশাদকে হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ
১০৮ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর রিশাদ হোসেনও হাল ধরতে পারেননি। ১৬তম ওভারে শাদাব খানের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হলেন তিনি। ৫ বলে ৪ রান করেন এই ব্যাটার। ১৫.২ ওভারে ১২৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
একশতে পৌঁছে ৮ রানের মধ্যে লিটন-হৃদয়-শামীম আউট
২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছিল ১০০ রান। হঠাৎ এলোমেলো তাদের ব্যাটিং লাইন আপ। ১০৮ রানে নেই ৫ উইকেট। ৮ রানের মধ্যে তিন ব্যাটারকে হারালো তারা।
১১তম ওভারে দুটি ছয়ে হারিস রউফের ওপর চড়াও হন লিটন দাস। পরের ওভারের পঞ্চম বলে তিনি শাদাব খানকে মারেন আরেকটি ছক্কা, তাতে বাংলাদেশ পৌঁছায় ১০০ রানে। পরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ফখর জামানকে ক্যাচ দেন লিটন। বাংলাদেশ অধিনায়ক ৩০ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ৪৮ রানে আউট হন। ১২ ওভারে ১০০ রানে বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট। চার বল পর তাওহীদ হৃদয় ১৭ রান করে খুশদিল শাহের বলে এলবিডব্লিউ হন। ২২ বলে এক চার ছিল তার ইনিংসে। ৫ বলে ২ রানে দুই ব্যাটারকে হারালো বাংলাদেশ। ১২.৪ ওভারে ১০২ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো তারা। শামীম হোসেন ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলে চার মারেন। পরের ওভারে সালমান আগার শিকার হন তিনি। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসা বাংলাদেশি ব্যাটারকে স্টাম্পিং করেন মোহাম্মদ হারিস। ১৩.২ ওভারে ১০৮ রানে তাদের পঞ্চম উইকেট পড়লো।
১০ ওভারে বাংলাদেশের ৭৫ রান
২০২ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশ ১০ ওভার শেষে করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান। রিকোয়ার্ড রান রেট বেড়ে প্রায় ১৩। ২৫ রানে লিটন দাস ও ১৫ রানে তাওহীদ হৃদয় অপরাজিত আছেন। তাদের আগে তানজিদ হাসান তামিম ৩১ ও পারভেজ হোসেন ইমন ৪ রান করেন।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৪৫ রান
পাওয়ার প্লেতে তানজিদ হাসান তামিম ঝড়ে বাংলাদেশ করেছে ২ উইকেটে ৪৫ রান। তিনি ৩১ রান করে আউট হয়েছেন। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন বিদায় নেন ৪ রান করে। ক্রিজে আছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। পাকিস্তান প্রথম ছয় ওভারে করেছিল ৫২ রান।
ঝড় তুলে বোল্ড তানজিদ
১৪ রানে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙার পর তৃতীয় ওভারে আবরার আহমেদের প্রথম দুই বলে ছয় মারেন তানজিদ হাসান তামিম। ওই ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১৫ রান। পরের ওভারে হাসান আলীকে চতুর্থ ও পঞ্চম বলে চার মেরে গ্যালারি মাতান তানজিদ। কিন্তু শেষ বল সুইং করে অফ স্টাম্পে আঘাত করে। ১৭ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩১ রান করে থামেন তানজিদ। ৪ ওভারে ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওভারে আউট ইমন
দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ১৪ রানে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙলো। হাসান আলীর বলে মিডউইকেট দিয়ে শট খেলতে গিয়ে মিড অনে হারিস রউফের ক্যাচ হন বাংলাদেশের ওপেনার। আগের ওভারে চার মেরে রানের খাতা খোলেন ইমন। ৫ বল খেলে আর কোনও রান যোগ করতে পারেননি। ২ ওভারে ১ উইকেটে ১৪ রান বাংলাদেশের।
তিন বল আগেই হারিসের হাতে জীবন পান ইমন। পাকিস্তানি ফিল্ডার বল লুফে নিয়ে আউটের সংকেত দেন। তবে আম্পায়ারের সন্দেহ থাকায় টিভি আম্পায়ারের শরণাপন্ন হন। রিপ্লেতে দেখা গেছে ইঞ্চিখানেক সামনে বল মাটিতে পড়ে রউফের হাতে জমা হয়। সেই একই ফিল্ডারের ক্যাচ হলেন ইমন।
বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিলো পাকিস্তান
৫ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। তবে মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আগা ম্যাচ পাল্টে দেন। তাদের দারুণ জুটিতে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ায়। সালমানের হাফ সেঞ্চুরি ও হারিসের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকরা বড় ইনিংসের ভিত গড়ে। হাসান নওয়াজও দারুণ অবদান রাখেন। সালমানের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৬৫ রানের। শেষ দিকে শাদাব খানের মারকুটে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সামনে ২০২ রানের লক্ষ্য দাঁড় করেছে পাকিস্তান। ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে তারা।
ইনিংস সেরা ৫৬ রান করেন সালমান। অধিনায়কের পর শাদাব ২৫ বলে ৪৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। নওয়াজ ২২ বলে ৪৪ রান করেন। ৩১ রান করেন হারিস।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শরিফুল। পাকিস্তান সুপার লিগে ঝলক দেখানো রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ৫৫ রান খরচায় পান এক উইকেট।
৪৮ রানে থামলেন শাদাব
সালমান আগা আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের রানের গতি থমকে গিয়েছিল। শাদাব খান নেমে ঝড় তোলেন। ফাহিম আশরাফের সঙ্গে ২৪ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে আউট হলেন তিনি। ২৫ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৮ রানে থামেন শাদাব। শরিফুল ইসলামের বলে রিশাদ হোসেনের ক্যাচ হন তিনি।
শেষ ওভারে রিশাদ দিলেন ১৯ রান
রিশাদ হোসেন তার শেষ ওভার করতে নেমে ১৯ রান দিলেন। ১৮তম ওভারে শাদাব খান শেষ তিন বলে টানা দুই ছয় ও এক চার মারেন। ৪ ওভারে বাংলাদেশি লেগস্পিনার ৫৫ রান দিয়ে ১ উইকেটে পেলেন।
টি-টোয়েন্টিতে শামীমের প্রথম শিকার খুশদিল
প্রথম ৯ বলে ৫ রান করা খুশদিল শাহ বাউন্ডারি মারতেই চেয়েছিলেন। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। বলের লাইন মিস করেন পাকিস্তানি ব্যাটার। শামীম হোসেনের বল ততক্ষণে লিটন দাসের হাতে এবং স্টাম্প ভেঙে দেন তিনি। তাতে শামীম প্রথম টি-টোয়েন্টি উইকেট পেয়ে গেলেন। ১৬.১ ওভারে ১৫০ রানে ৬ উইকেট হারালো পাকিস্তান। খুশদিল ১০ বলে করেন ৫ রান।
সহজ ক্যাচে নওয়াজকে ফেরালেন রিশাদ
১৪তম ওভারের প্রথম তিন বলে ৬, ৪, ৪ হজম করেন রিশাদ হোসেন। চতুর্থ বল একটু নিচু ছিল, হাসান নওয়াজ সেটাই ফিরতি তুলে দিলেন বাংলাদেশ স্পিনারের হাতে। ২২ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৪৪ রান করেন পাকিস্তানি ব্যাটার। ১৩.৪ ওভারে ১৩৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারালো পাকিস্তান।
৫৬ রানে সালমানকে আউট করলেন হাসান
১২তম ওভারের শেষ বলে হাসান মাহমুদের ফুল টসে মাঠ ছাড়লেন সালমান আগা। ৩৪ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৫৬ রান করে আউট হন পাকিস্তান অধিনায়ক। এক্সট্রা কাভারে তানজিদ হাসানের ক্যাচ হন তিনি। ভাঙলো হাসান নওয়াজের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি। ১১৮ রান চার উইকেট হারালো পাকিস্তান।
সালমানের হাফ সেঞ্চুরি, নওয়াজের ছক্কায় পাকিস্তানের একশ
দশম ওভারের শেষ বলে তানজিম হাসান সাকিবকে চার মেরে ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা। এটি তার তৃতীয় ফিফটি। আগের দুই বলে ৬ ও চার মারেন সালমান। পরের ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনকে ছয় মেরে দলীয় স্কোর একশ পার করেন হাসান নওয়াজ। ১০.৫ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৩ উইকেটে ১০৫ রান।
আক্রমণাত্মক হারিসকে ফেরালেন তানজিম
৫ রানে পাকিস্তানের ২ উইকেট নিয়ে দারুণ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পাওয়ার প্লেতে সালমান আগাকে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মোহাম্মদ হারিস। অবশেষে সপ্তম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নিয়ে এই জুটি ভেঙে দিলেন তানজিম হাসান সাকিব। ৪৮ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হলো তৃতীয় উইকেটের এই জুটি। ১৮ বলে ৩১ রান করে লং অনে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হন হারিস। ১৮ বলে ৩১ রান করেন তিনি চারটি চার ও একটি ছয়ে। ৬.৩ ওভারে ৫৩ রানে ৩ উইকেট্ হারালো পাকিস্তান।
দুই উইকেট নেওয়ার পর খরুচে শরিফুল-মেহেদী, পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের ৫২ রান
প্রথম দুই ওভারে শেখ মেহেদী হাসান ও শরিফুল ইসলাম পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে আউট করেন। তারপর মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আগার জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে পাকিস্তান। তৃতীয় ওভারে হাসান মাহমুদ দেন মাত্র ৩ রান। প্রথম তিন ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয় বাংলাদেশ।
এরপর খরুচে বোলিং করেন শরিফুল ও মেহেদী। চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ হারিস শরিফুলকে দুটি চার ও এক ছয় মেরে ১৬ রান তুলতে অবদান রাখেন। পরের ওভারে মেহেদী তিন চারে দেন ১৫ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হাসান দেন ৯ রান। তাতে ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫২ রান।
টি-টোয়েন্টিতে শরিফুলের ৫০ উইকেট, বিপদে পাকিস্তান
টানা দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশ পেলো পাকিস্তানের উইকেট। শরিফুল ইসলাম নিজের প্রথম ওভারে ফখর জামানকে এলবিডব্লিউ করেন। ৪৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে ৫০তম উইকেট পেলেন তিনি। ৪ বল খেলে ১ রান করেন ফখর। ১.২ ওভারে ৫ রানে ২ উইকেট নেই পাকিস্তানের।
তৃতীয় বলেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙলো বাংলাদেশ
তৃতীয় বলেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙলো বাংলাদেশ। সাইম আইয়ুবকে ফিরতি ক্যাচে ফেরান শেখ মেহেদী হাসান। গোল্ডেন ডাক মারেন পাকিস্তানি ওপেনার। দ্বিতীয় বলে ফখর জামান সিঙ্গেল নিয়ে নন স্ট্রাইকে যান। সাইম প্রথম বলেই বিদায় নিলেন রানের খাতা না খুলে। ১ রানে প্রথম উইকেট পেলো বাংলাদেশ।
পাকিস্তান টস জিতেছে, বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে টসে হেরেছে বাংলাদেশ, আগে তারা ফিল্ডিংয়ে। পাকিস্তান টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান, জাকের আলী, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম।
পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), সালমান আগা (অধিনায়ক), হাসান নওয়াজ, শাদাব খান, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ।
অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের জেরে পিএসএল স্থগিত হওয়ার পর ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হক আই দলের স্টাফরা যে যার দেশে ফিরে যান। দুই দেশের যুদ্ধবিরতি হলে পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ পুনরায় শুরু হলেও বাকি আট ম্যাচে ছিল না ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। কারণ হক আই দলের স্টাফরা আর ফেরেননি। একই কারণে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও থাকছে না বল ট্র্যাকিং ও আল্ট্রা এজের মতো প্রযুক্তি।
ফল ছাপিয়ে স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে চায় বাংলাদেশ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে বাংলাদেশের সিরিজ হার ছিল অপ্রত্যাশিত। যে হারে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছেন লিটন দাসরা। গত সপ্তাহের দগদগে হারের ক্ষত ভুলে বাংলাদেশ দল এখন সামনে তাকিয়ে। আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি শুরু হচ্ছে। আমিরাতের হতাশাজনক পারফরম্যান্সকে পেছনে ফেলে লিটন দাসরা এখন সামনে থাকিয়ে। ভুলগুলো শুধরে পাকিস্তানের বিপক্ষে কৌশলী ক্রিকেট খেলে জেতার আশা লিটন-শান্তদের।
আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম সত্যিকার অর্থেই স্বস্তিদায়ক থাকার কথা নয়। অন্যদিকে, সদ্য ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্জাইজি টুর্নামেন্ট পিএসএল শেষ করায় পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাও বেশ উৎফুল্ল। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো করতে হলে বাংলাদেশকে আরও বেশি ভালো করতে হবে। সঙ্গে কৌশলীও হতে হবে।