হেডিংলিতে প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ভারতের আধিপত্যের পর প্রথম ইনিংসে জবাব দিচ্ছে ইংল্যান্ডও। তাতে দ্বিতীয় দিনটা এককভাবে ভারতের হতে দেয়নি স্বাগতিক দল। ওলি পোপের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেটে ২০৯ রানে দিন শেষ করেছে ইংলিশরা। তারা পিছিয়ে ২৬২ রানে।
সফরকারীদের ইনিংসে তিনজন সেঞ্চুরিয়ান থাকলেও প্রথম ইনিংসের শেষ হয়েছে তড়িঘড়ি! এক পর্যায়ে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৪৩০ রান। অথচ সেই দলটাই ৪১ রানে হারায় শেষ ৭ উইকেট! শেষ পর্যন্ত থামে ৪৭১ রানে। টেস্ট ক্রিকেটের আসল বিনোদন তো এখানেই। যে কোনও সময় বদলে যায় ইনিংসের চিত্র। টেস্ট ক্রিকেটে এমন তিন সেঞ্চুরি থাকার পরও এত দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার নজির এটাই প্রথম।
১২৭ রানে দিন শুরু করা ভারতের অধিনায়ক শুবমান গিল ১৪৭ রানে ফিরেছেন। ৬৫ রানে দিন শুরু করা পান্ত পেয়েছেন সপ্তম সেঞ্চুরি। আউট হওয়ার আগে ১৩৪ রান করেছেন তিনি। তাতে অবশ্য কীর্তিও গড়েছেন। ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি এখন পান্তের। পেছনে ফেলেছেন সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ধোনির সেঞ্চুরি ৬টি। পান্তের লড়াইয়ের পর আর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কেউ।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন জশ টাং ও বেন স্টোকস।
জবাবে ইংল্যান্ডকে শুরুতেই কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। ওপেনার জ্যাক ক্রলিকে মাত্র ৪ রানে ফেরান তিনি। বল হাতে বাকিটা সময় ছিল বুমরারই আধিপত্য। ইংল্যান্ড বেন ডাকেট ও ওলি পোপের জুটিতে দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। ডাকেটকে ৬২ রানে আউট করে ১২২ রানের জুটি ভাঙেন সেই বুমরা। দিনের শেষ দিকে ভারতের পেসারের শিকার হন জো রুট (২৮)। তার আগে ওলি পোপ প্রান্ত আগলে ইংল্যান্ডকে ভালো ভিতে দাঁড় করিয়েছেন। রুটকে নিয়ে যোগ করেছেন ৮০ রান। পোপের সেঞ্চুরির পর পরই আউট হন রুট। পোপ ১০০ রানে অপরাজিত রয়েছেন, সঙ্গে রয়েছেন হ্যারি ব্রুক। তিনি এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
দ্বিতীয় দিন বুমরা ১৩ ওভার বল করেছেন। ৪৮ রানে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, রবীন্দ্র জাদেজা ও শার্দুল ঠাকুর বল করেও ছিলেন উইকেটশূন্য।