প্রথম ইনিংসে ২১১ রানের লিড নিয়ে কলম্বো টেস্টের নিয়ন্ত্রণ এখন শ্রীলঙ্কার হাতে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হাতে রেখে ৯৬ রানে পিছিয়ে। গলে ড্র করার পর চার দিনেই ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় তারা। স্বাগতিকদের দাপটের দিনে আলো কেড়েছেন তাইজুল ইসলাম। লঙ্কানদের পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রত্যাশিতভাবে তাকেই সংবাদ সম্মেলনে পাঠানো হলো। ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণে দারুণ এক অর্জনের দিনে হতাশা ঝরলো এই স্পিনারের কণ্ঠ থেকে।
বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার রজতজয়ন্তী হয়েছে বৃহস্পতিবার। ২৫ বছর পূর্তির দুই দিন যেতেই ইনিংস হারের শঙ্কা। এতদিনেও দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশে যখন টেস্ট নিয়ে নানা আয়োজন চলছে, তখন শ্রীলঙ্কায় হতাশার চাদরে ঢাকা পড়েছে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স।
নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে মূল্যায়ন করতে বলা হলে তাইজুলের কথা, ‘আপনি দেখবেন যখন থেকে আমাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছে আমরা প্রথমে হয়তো ৯ কিংবা ১০ নম্বরে ছিলাম। তারপরে ৯ নম্বরে বা এবছর আমরা ৭ নম্বরে এসেছি। আর ২৫ বছরেরটা বলতে গেলে আপনারাও হয়তোবা ভালো করেই জানেন, আমাদের ক্রিকেট অবকাঠামোটা কোন দিকে ছিল বা কোন দিকে যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় শুধু যে আপনারা খেলোয়াড়দের দোষ দেবেন, এটা আমি মানতে নারাজ। আসলে একটা যখন একটা দল খারাপ করে, অনেক কিছুই এখানে যুক্ত থাকে।’
খেলোয়াড়দের চেষ্টার কোনও কমতি নেই মনে করেন তাইজুল, ‘সেই জায়গাতে আমাদের খেলোয়াড়রা অনেক চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাদের এই অবকাঠামোগুলো যদি আরও ভালো হয়, হয়তোবা আমরা দিনকে দিন একটা ভালো জায়গা আসবো। আর যদি আপনি ২৫ বছর হিসেব করেন, আমি বলবো যে অন্তত আমাদের যে বিগত দিনের যে লিজেন্ড খেলোয়াড়রা ছিল, তারা অনেক কিছুই দিয়েছে দলকে, কিন্তু তার পরবর্তী যে আমরা আসছি, হয়তোবা আমরা ওই জায়গাটা এখনও নিয়ে আসতে পারিনি। হয়তোবা ছয়, পাঁচ-ছয়ে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু একটু হয়তোবা আমরা পেছনে আছি।’
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি ও শক্ত অবকাঠামোর কথা তুলে ধরলেন বাংলাদেশি স্পিনার। স্বাগতিকদের এই অবস্থানের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করতে গিয়ে আফসোস হয় তাইজুলের, ‘অবশ্যই, একটু আফসোস হয়। আপনারাও দেখছেন... আপনারা অনেকজন এখানে এসেছেন, এখানকার কী সুযোগ-সুবিধা বা এরা কোন ধরনের উইকেটে অনুশীলন করে বা কী হচ্ছে। আমরা তো চাই আসলে আমরাও এরকম একটা সুযোগ-সুবিধা পাই। যেখান থেকে অনেক ক্রিকেটার আসবে এবং প্রতিযোগিতাটা অনেক বাড়বে।’