দ্বিতীয় দিন শেষে বুলাওয়ে টেস্টের লাগাম দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে। আগের দিন ৯ উইকেটে ৪ উইকেট করেছিল তারা। রবিবার নতুন দিনে ইনিংস ঘোষণা করে সকালের কন্ডিশনের সদ্ব্যবহার করেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ২৩ রানে ২ উইকেট পড়ার পর জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান বেনেট হেলমেটে আঘাত নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার কনকাশন সাব হয়েছেন প্রিন্স মাসাভুরে। প্রোটিয়াদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ক্রেইগ আরভিন ও শন উইলিয়ামস প্রতিরোধ গড়েছিলেন। এই জুটি ভাঙার পর একাই লড়াই করে গেছেন উইলিয়ামস। অন্য প্রান্ত থেকে সহযোগিতা না পেলেও তিনি সেঞ্চুরি করেন। স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনে ধস নামিয়ে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৭ রানের লিড নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সেই লিড ২১৬ রানে গিয়ে ঠেকেছে।
উইলিয়ামসের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি ঢাকা পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে। অভিষেকে কডি ইউসুফ মুগ্ধ করেছেন। তিন উইকেট নেন তিনি। মহারাজ ফেরান উইলিয়ামস ও আরভিনকে। প্রোটিয়া স্পিনারও তিন উইকেট নিয়েছেন। চার উইকেট নিয়ে সেরা বোলার উইয়ান মুল্ডার।
প্রথম দুটি উইকেট পান ইউসুফ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে কেনা মাফাখার বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত লেগেও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মাঠে নামেন বেনেট। কিন্তু পরের ওভারে ইউসুফের তিন বল খেলে রিটায়ার্ড আউট হন তিনি। ২৮ বলে ১৯ রান করেছিলেন জিম্বাবুয়ান ওপেনার। পরে টিম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করে, এই টেস্টে আর তার খেলা হচ্ছে না।
এরপর আরভিন ও উইলিয়ামস ৯১ রানের জুটি গড়েন। ৩৬ রানে আরভিন ফেরার পর ওয়েসলি মাধেভেরের সঙ্গে ৪৮ রান যোগ করেন উইলিয়ামস। ১২২ বলে ১২ চারে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
চা বিরতির পর ধস দেখে জিম্বাবুয়ে। উইলিয়ামস ১৬৪ বলে ১৬ চারে ১৩৭ রান করেন। তারপর জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেছে ১৫১ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটি ভাঙে মাত্র ১ রান করে। ম্যাথু ব্রিজকে (১) ফিরে গেলে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করে তারা। আলোকস্বল্পতায় আম্পায়াররা দিনের শেষ ঘোষণার সময় তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ৪৯। টনি ডি জর্জি ২২ ও মুল্ডার ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।