দুই দিন আগে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ঘোষণা দিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ঘোষণার পরপরই টুর্নামেন্টটি সফলভাবে আয়োজন করতে তোড়জোর শুরু হয়ে গেছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ১২তম বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে অক্টোবরে। তার আগে আগস্টে শেষ হবে দল বাছাই প্রক্রিয়া।
বুধবার বিসিবি কার্যালয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেছেন, ‘আমি মনে করি, বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট অক্টোবরের আগে হবে না। যদি আমরা স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে আয়োজন-ব্যবস্থাপনার কাজ আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে শেষ করতে পারি, তবে আগস্টের শেষ নাগাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি বাছাইয়ে যেতে পারবো। এরপর যদি সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়, তাহলে আমরা অক্টোবরে ড্রাফট আয়োজনের অবস্থায় থাকবো।’
১১তম আসরের পর পুরানো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বিসিবির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই আসরে নতুন করে ৫ বছরের জন্য চুক্তি করা হবে। বিষয়টি নিয়ে বিপিএলের নতুন চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘এখন নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বোর্ড। এই মুহূর্তে আমরা প্রোডাকশন, পৃষ্ঠপোষক কিংবা কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নই। সবকিছু শুরু করছি একেবারে শূন্য থেকে। আগ্রহী পুরানো ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও আবেদন করতে পারবে, যদি তারা কোনোভাবে ডিফল্টার না হয়ে থাকে।’
প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এবারের বিপিএলে দল কিনতে পারেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি এই পরিচালক, ‘বিদেশে বসবাসকারী কিছু আগ্রহী বিনিয়োগকারীর নাম আমাদের কানে এসেছে। যেমন ইংল্যান্ড কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি মালিকানার কথাও শুনেছি। আগস্টে যখন আমরা চূড়ান্ত বাছাইয়ে যাবো, তখনই জানাতে পারবো কাদের হাতে যাবে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব।’
ড্রাফট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়াও বিপিএল আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে মাঠ। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট- এই তিনটি মাঠে নিয়মিতই বিপিএল হচ্ছে। নতুন করে কোথাও আয়োজন করা যায় কিনা সেই ব্যাপারেও চিন্তা ভাবনা করছে বিসিবি। তবে বিপিএল আয়োজনের জন্য আইসিসির নির্ধারিত কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়; বিশেষ করে প্রোডাকশন সুবিধা, আবাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিসিবি আগামী সপ্তাহের মধ্যে মাঠগুলো পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানালেন মাহবুব আনাম, ‘চার মাসের মধ্যে ভেন্যুগুলোর প্রস্তুতি শেষ করা গেলে তবেই বোঝা যাবে কয়টি মাঠে বিপিএল আয়োজন সম্ভব হবে। আমরা চাচ্ছি প্রয়োজনমতো মাঠের সংখ্যা বাড়াতে, তবে সেটা নির্ভর করছে প্রস্তুতির গতির ওপর। খুলনা ও বগুড়ায় আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন হয়েছে। বরিশালে সংস্কার কাজ চলছে। যদি বরিশালের কাজ সময়মতো শেষ হয়, তাহলে আমরা হয়তো তিনটি নয়, চার বা পাঁচটি ভেন্যুতেই বিপিএল আয়োজন করতে পারবো।’