আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবি সভাপতি হওয়ার পর ঘোষণা করেছিলেন আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে। তবে জাতীয় নির্বাচনের কারণে সেই পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যদিও এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত হয়নি কবে বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার লম্বা বৈঠক সেরেছেন বিসিবির পরিচালকরা। পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিপিএল গর্ভনিং কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। সেখানেই তিনি বলেছেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল মাঠে না গড়ালে আগামী বছর মে মাসে হতে পারে।
বিপিএল মে মাসে হলে আইপিএল ও পিএসএলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। বিশ্বের জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হবে কাছাকাছি সময়ে। এমনটাই জানিয়েছেন মাহবুব আনাম। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা জানি যে সরকারের তরফ থেকে গতকালকে বলা হয়েছে যে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এবং নির্বাচন হয়তো ঈদের আগেও হতে পারে এরকম একটা আলাপ শুনেছি। আমরা যত ডিসেম্বরের কাছে আসবো, তার আগেই আমরা এটা সম্পর্কে একটা পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবো। যদি সরকারিভাবে বাহ্যিক অবস্থায় আমরা ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে না করতে পারি তাহলে আরেকটা স্লট আমাদের কাছে থাকতে পারে। সেই স্লটে হতে পারে।’
বিকল্প সময়ের কথা জানিয়ে বিপিএল চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, ‘আমাদের ডমেস্টিক বা ইন্টারন্যাশনাল যে ইভেন্টগুলো আছে মে মাসেও আমরা খালি আছি। আমাদের ডিসেম্বর জানুয়ারিতেও অন্যান্য কিছু ইভেন্ট, অন্যান্য কিছু টি-টোয়েন্টি লিগের সঙ্গে ক্ল্যাশ করে। আমরা যদি মে মাসেও করি তাও ক্ল্যাশ করবে। আইপিএল থাকবেই, এর বাইরে পিএসএলের সঙ্গেও কিছুটা ক্ল্যাশ হতে পারে। সো আমরা দুটাকেই নিয়ে জানি কিন্তু আমাদের পরিকল্পনাতে আমরা কোনও আটকাবো না। আমরা এগিয়ে যাবো।’
বিপিএল প্রতি আসরেই তিনটি ভেন্যুতে আয়োজিত হয়। সামনের আসরে ভেন্যু বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা চলছে। সেই পরিকল্পনা জানিয়ে মাহবুব আনাম বলেছেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে বিপিএলের অন্তত একটি ভেন্যু বাড়ানোর। বগুড়া ও খুলনায় বিপিএলের ভেন্যুর জন্য অডিট করতে পাঠিয়েছি গ্রাউন্ডস এবং ফ্যাসিলিটিজ থেকে। বরিশালের উইকেট প্রস্তুত, আউটফিল্ডেরও কিছু কাজ চলছে। তাহলে বরিশালও ভেন্যু হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। রাজশাহীর ব্যাপারে এনএসসি কাজ করছে, আমরাও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। এই চারটা ভেন্যুর মধ্যে যেটা সেরা হবে সেটাকে আগামী বিপিএলে যোগ করবো।’