টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ঢাকায় ফুটবল খেলতে এসেছিলেন রফিকুল ইসলাম। চোখে ছিল বড় স্বপ্ন- একসময় বাংলাদেশ জাতীয় দলে জায়গা করে নেবেন। ৬ বছরের মাথায় রফিকুলের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। ভারতের বেঙ্গালুরুর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ৩৫ সদস্যের দল দেওয়া হয়েছে। ২০ বছর বয়সী রফিকুল তাতে জায়গা করে নিয়েছেন। এত দ্রুত ডাক পাওয়ার খবর শুনে ফর্টিস এফসির ফরোয়ার্ড আনন্দে কেঁদে ফেলেছেন!
শনিবার মুন্সিগঞ্জে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ফর্টিসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। সেই ম্যাচ খেলে মাঠ ছাড়ার পরই সতীর্থদের অনেকেই খুশির খবরটি দিয়েছেন। তখনই চোখে আর অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি রফিকুল। বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘খেলা শেষ করে ওঠার পর খুশির খবরটি শুনলাম। সতীর্থরা বলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও দেখেছি। আমি অবাক হয়ে গেছি ডাক পেয়ে। অনেক খুশি হয়েছি। বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়ে আনন্দে চোখে পানি চলে আসে। কেঁদে ফেলেছি। আসলে এত তাড়াতাড়ি ডাক পাবো আশা করিনি।’
২০১৭ সালে টাঙ্গাইল ফুটবল একাডেমি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু, তৃতীয় বিভাগ লিগে। এরপর খিলগাঁও ফুটবল একাডেমি, যাত্রাবাড়ী, ফরাশগঞ্চ নোফেল স্পোর্টিং হয়ে ফর্টিস এফসিতে খেলছেন। এছাড়া সাফ ও এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে এবার খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। রাইট উইং ব্যাক পজিশনে খেলে লিগে কোনও গোল পাননি, তবে অ্যাসিস্ট আছে কয়েকটি।
আগামী ৪ জুন থেকে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু হতে যাচ্ছে। সেখানে যদিও এই দল থেকে কাঁটছাঁট করে ২৭ জনকে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করবেন হাভিয়ের কাবরেরা। রফিকুল সেই দলে জায়গা করে নিতে আত্মবিশ্বাসী, ‘আমার আত্মবিশ্বাস আছে ২৭ জনের দলে থাকতে পারবো। আরও ভালো করে অনুশীলন করবো। এর মধ্যে ম্যাচ আছে কয়েকটা। ভালো খেলে কোচের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করবো।’