প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে শেষ আটে পা রেখেছিল দুই দলই। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যে হতে যাচ্ছে, তা ছিল প্রত্যাশিত। হলোও তাই। ৩-১ গোলে নরওয়েকে হারিয়ে মেয়েদের বিশ্বকাপের চতু্র্থবার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছালো জাপান।
২০১৯ সালে শেষ ষোলো থেকে হতাশাজনক বিদায়ের স্মৃতি মাটিচাপা দিতে চেয়েছিল জাপান। সফল তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও সুইডেনের মধ্যকার রবিবারের ম্যাচ জয়ীর বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে জাপানিরা। ১৯৯৫ সালের চ্যাম্পিয়ন নরওয়ে ৯ আসরে তৃতীয়বার কোয়ার্টার ফাইনালের আগে বিদায় নিলো।
দুই সাবেক চ্যাম্পিয়নদের লড়াইয়ে টুর্নামেন্টে নিজের পঞ্চম গোল করেছেন হিনাতা মিয়াজাওয়া। তাতে করে এই আসরের শীর্ষ গোলদাতা জার্মানির আলেক্সান্দ্রা পোপের পাশে বসলেন তিনি। এছাড়া ২০১১ সালে হোমারে সাওয়ার জাপানি রেকর্ডও ছুঁয়েছেন।
মিয়াজাওয়া বলেছেন, ‘আমি খুব খুশি। আমি ভাবিনি আমরা এতদূর আসতে পারবো। দলের সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে। এখন আমরা এখানে। আমি আরও গোল করতে চাই। যার বিরুদ্ধেই খেলি না কেন, আমাদের ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে এবং নিশ্চিত করবো যেন তাদের হারাতে পারি।’
দুই দলই বড় জয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করে। জাপান ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় স্পেনকে। নরওয়ে ৬-০ গোলে জেতে ফিলিপাইনসের বিপক্ষে।
জাপান দ্রুত আক্রমণে যায়। কিন্তু তারা প্রথম গোলের দেখা পায় ১৫তম মিনিটে। অপ্রত্যাশিতভাবে গোল করে তারা। মিয়াজাওয়া বাঁপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে ক্রস দেন, এনগেন বল ব্লক করতে গিয়ে নিজের জালেই বল পাঠান, যা বিশ্বকাপের অষ্টম আত্মঘাতী গোল।
প্রথম আক্রমণে পাঁচ মিনিট পর নরওয়ে সমতা ফেরায়। বাইলাইন থেকে বল নিয়ে ভিলদে বোয়ে রিসা ক্রস দেন জাপানের বক্সে। রেইটেন হেড করে জাল কাঁপান।
বিরতির পর ফিরে ১০ মিনিট যেতে নাদেশিকো লিড নেয়। সতীর্থকে রিসা দুর্বল পাস দিয়ে বক্সের মধ্যে বল কেড়ে নেন শিমিজু। তার শট এনগেনের গালে লেগে লক্ষ্যে পৌঁছায়।
নরওয়ে শেষ ১৫ মিনিটে গোলের জন্য মরিয়া ছিল। কারিনা সায়েভিক ৭৬তম মিনিটে গোলমুখের সামনে থেকেও জাল খুঁজে পাননি। তারা আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে জাপানকে বেশি জায়গা দেয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৮১ মিনিটে তৃতীয় গোল করে জাপান। আওবা ফুজিনোর থ্রু বলে ঠাণ্ডা মাথায় জালে বল জড়ান মিয়াজাওয়া।
জাপান গোলকিপার আয়াকা ইয়ামাশিতা সেরা সেভ করে দলকে বাঁচান। স্টপেজ টাইমে সায়েভিকের হেড জালে জড়াতে দেননি। কয়েক মিনিট পরই নরওয়ের নিউ জিল্যান্ড থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়।