ডেভিড ডি গিয়ার শূন্যতা পূরণে ইন্টার মিলান থেকে আন্দ্রে ওনানাকে এনেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ছয় ম্যাচে ক্যামেরুন গোলকিপারকে ভেদ করে প্রতিপক্ষ গোল করেছে ১৩টি। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরের পর প্রথমবার টানা ৩ ম্যাচে তিনটি বা তার বেশি গোল খেয়েছে ইংলিশ ক্লাব। বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৪-৩ গোলে হারের পর ভুল স্বীকার করে নিজেকে দায়ী করলেন ওনানা।
বায়ার্নের মাঠে দুই মিনিটের মধ্যে চার গোল খেয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ম্যানইউ। পরের অর্ধে আরও দুটি গোল হজম করে তারা। পাল্টা জবাব দিয়েছিল, কিন্তু পারেনি পয়েন্ট আদায় করতে।
অ্যালিয়েঞ্জ এরেনায় স্বাগতিক বায়ার্ন প্রথম গোল আদায় করে ওনানার ভুলে। লেরয় সানের দুর্বল প্রচেষ্টা ঠেকাতে পারেননি। তার গায়ের নিচ দিয়ে জালে জড়ায় বল। টানা তিন হারের পর ওনানা বললেন, ‘আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। আমার ভুলের পর খেলার নিয়ন্ত্রণ হারালাম। এটা আমার জন্য দুর্বিষহ পরিস্থিতি। আমি দলকে ডুবিয়েছি। আমার কারণেই আমরা এই ম্যাচ জিততে পারিনি। তবু আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, গোলকিপারের জীবন এমনই।’
নটিংহ্যাম ফরেস্ট, আর্সেনাল ও ব্রাইটনের কাছে গোল হজমের জন্যও দোষারোপ করা হয়েছিল ক্যামেরুন গোলকিপারকে। বায়ার্নের বিপক্ষে নামার আগে তিনি স্বীকার করেন, ডি গিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়া সহজ নয়। এত এত ভুলের পর মূলত ক্ষমা চাওয়ার জন্যই বায়ার্ন ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাঠানো হয় তাকে।
ওনানা বলেছেন, ‘তারা কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তাদের লক্ষ্যে নেওয়া প্রথম শটেই আমি ভুল করেছিলাম এবং দলও পেছনে পড়ে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়েছিলাম কিন্তু আমি স্বীকার করছি আমার কারণে আমরা জিততে পারিনি। আমাকে এখনও অনেক কিছু প্রমাণ করতে হবে (ভক্তদের কাছে)। আমার শুরুটা ভালো হয়নি, যেমনটা আমি চেয়েছিলাম, তেমনটা হয়নি। এটা কঠিন। ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল, কিন্তু হলো না। এটা আমার গাফিলতি। আমাকে এখান থেকে শিখতে হবে।’