লিওনেল মেসির সঙ্গে বিশ্বকাপের একই মঞ্চে ট্রফি হাতে উৎসব করেছেন আলেহান্দ্রো পাপু গোমেজ। কাতারে ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পাওয়ার ১০ মাস পর ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার কারণে দুই বছর নিষিদ্ধ হলেন আর্জেন্টিনার এই মিডফিল্ডার।
গত সেপ্টেম্বরে ফ্রি এজেন্ট হয়ে ইতালির ক্লাব মোনজাতে যোগ দেন ৩৫ বছর বয়সী গোমেজ। স্প্যানিশ গণমাধ্যম রেলেভো জানায়, গত বছর বিশ্বকাপের আগেই তার ডোপ টেস্ট করা হয়, যাতে নিষিদ্ধ বস্তুর উপস্থিতি মেলে। তার তৎকালীন ক্লাব সেভিয়া ওই সময় পরীক্ষার ফল জানলেও এই সপ্তাহে তাকে অবগত করে। এই শাস্তির কারণে আগেভাগে অবসর নিয়ে নিতে পারেন গোমেজ।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, এক রাতে ভালো ঘুম না হওয়ায় সেভিয়ার মেডিক্যাল টিমের অনুমতি ছাড়াই তার বাচ্চার একটি কাশির সিরাপ খান গোমেজ। তার এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি অ্যান্টিডোপিং কর্তৃপক্ষের। তাই শাস্তি পেতে হলো আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে।
কাতারে সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা গোমেজকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বা কমাতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কি না।