আগামী ১৯-২৭ অক্টোবর ভিয়েতনামে হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের টুর্নামেন্ট। এজন্য বুয়েট মাঠে নিয়মিত অনুশীলন করছে গত ২৮ আগস্ট নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ। এই দলে আছেন বসুন্ধরা কিংসের ছয় খেলোয়াড়, কিন্তু তারা এই প্রস্তুতি ক্যাম্পে পাঠিয়েছে দুজনকে। এতে বেশ চটেছেন সাফ জয়ী কোচ মারুফুল হক। কিংসের সব খেলোয়াড়দের না পাওয়ায় বাকি দুজনকেও অনুশীলনে যোগ দিতে দেননি তিনি। এনিয়ে ঘরোয়া ফুটবলের সেরা দলের সঙ্গে মারুফুলের একপ্রকার যুদ্ধ বেঁধে গেছে। তার অধীনে অনুশীলনে কোনও ফুটবলার ছাড়বে না কিংস, এই মর্মে ক্লাবটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘এ’ গ্রুপে খেলবে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, সিরিয়া, ভুটান, গুয়ামের সঙ্গে। প্রতিযোগিতার ১০ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা পাঁচ দল বাছাইপর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। যেহেতু ভুটান, গুয়াম, সিরিয়ার মতো দলগুলোকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই এই টুর্নামেন্টে চূড়ান্ত পর্বে খেলার ভালো একটা সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু কিংসের গুরুত্বপূর্ণ ৬ ফুটবলারকে না পেলে সেই সম্ভাবনা থাকবে না কোচের জন্য।
তাই মারুফুল কিংসের ছয় খেলোয়াড়কেই চেয়েছিলেন। কিন্তু সবাইকে না পাওয়ায় ক্লাবটির কাউকেই রাখেননি অনুশীলনে। বাকি দুজনকে ক্লাবের ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছেন। মারুফুলের এমন আচরণের অভিযোগে ক্ষুব্ধ ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তারা অবশ্য সবাইকে একসঙ্গে ক্যাম্পের জন্য ছাড়েনি। চোটের ব্যাপার রয়েছে, এছাড়া নতুন কোচ ভ্যালেরিউ তিতার সঙ্গে অনুশীলনের জন্য ধাপে ধাপে ফুটবলারদের ছাড়ার ইচ্ছা তাদের।
চিঠিতে কিংস উল্লেখ করেছেন, অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচের এই ধরনের আচরণ বাফুফের আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছে। তারা মারুফুলের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছে। এছাড়া এই কোচের অধীনে কিংসের কোনও ফুটবলারকে বয়সভিত্তিক, সিনিয়র ও নারী দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মারুফুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি যা বলার বাফুফেকে বলে দিয়েছি। আর এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানিয়েছেন, ‘কিংসের চিঠি আমরা হাতে পেয়েছি। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য কাজ করছি। বসুন্ধরা কিংসের সামনে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ আছে, তাদেরও প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। এছাড়া শ্রাবণ (গোলরক্ষক মেহেদী হাসান) ও রাহুল (রাব্বি হোসেন) চোটে। সব মিলিয়ে ওরাও ইনজুরি আক্রান্ত ফুটবলার দিতে চাইছে না। তারপরও এর একটা সমাধান করার চেষ্টা আমি করছি।’