বেশ লম্বা সময় পর মাঠে ফিরে দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দারুণ ফর্মে থাকা এই ফরোয়ার্ড ক্রোয়েশিয়ার মাঠে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। উসমান দেম্বেলেও জ্বলে উঠতে পারেননি। দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে বৃহস্পতিবার উয়েফা নেশন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ২-০ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
আন্তে বুদিমির ও ইভান পেরিসিচ ক্রোটদের হয়ে গোল দুটি করেন। তার আগে স্বাগতিকরা একটি পেনাল্টি মিস করে। আন্দ্রেস ক্রামারিচের স্পট কিক রুখে দেন ফ্রান্স গোলকিপার মাইক মাইগনান। ২০২৩ সালের রানার্সআপরা সহজেই আরও বড় ব্যবধানে জয় পেতে পারতো।
ফ্রান্স একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল। ক্রোয়েশিয়া গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচের পরীক্ষাও নিয়েছে কয়েকবার। কিন্তু চার ম্যাচ পর এমবাপ্পে ফেরার কারণে যে পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করা হয়েছিল, ফ্রান্স সেটা করে দেখাতে পারেনি।
আগামী রবিবার প্যারিসে দ্বিতীয় লেগে ক্রোয়েশিয়াকে স্বাগত জানাবে ফ্রান্স। দুই লেগের অগ্রগামিতায় বিজয়ী দল সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্পেন কিংবা নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে।
ফ্রান্স দুই তৃতীয়াংশ সময় বল দখলে রাখলেও আক্রমণে বিবর্ণ ছিল। গোলমুখের সামনে সুযোগ নষ্ট করেছে তারা। শুরুতেই প্রতিপক্ষের বক্সে একটি ক্রস নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তাদের ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতের হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ক্রামারিচের পেনাল্টি শট দুর্বল থাকায় মাইগনান পা দিয়ে সহজেই ঠেকান।
২৬ মিনিট পর ক্রোয়েশিয়া লিড নেয়। বুদিমিরের শক্তিশালী হেড মাইগনান প্রথমে রুখে দিলেও বল মাটিতে লাফিয়ে তাকে অসহায় বানিয়ে গোললাইন পার হয়।
স্বাগতিকরা বিরতির আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। একটি শট ডিফ্লেক্টের হয়ে পেনাল্টি এরিয়ার ভেতরে পেরিসিচের সামনে পড়ে। তার ভলি নিচু হয়ে জালের কোনা দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে।
এই বছর পিএসজির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে ২২ গোল করে দারুণ ফর্মে থাকা দেম্বেলে ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু আট মিটার দূর থেকে নেওয়া তার শট সাইড নেটে জড়ায়।
ফ্রান্সের বদলি নামা ব্রাডলি বার্কোলা বলে পা লাগাতে পারলেই হতো। গোলমুখের সামনে থেকে তিনি বলে সংযোগ করতে না পারায় মলিন সন্ধ্যা কাটাতে হয়েছে অতিথিদের।