ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে প্রথমার্ধে লিড ধরে রেখেও চেলসি ৩-১ গোলে হেরেছে। ক্লাব বিশ্বকাপে পরাজয়ের পর কোচ এনজো মারেসকা স্বীকার করলেন, তার দলের এই হার প্রাপ্য ছিল।
পেদ্রো নেতোর গোলে ১৩ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। বিরতির পর তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে তারা। কিছুক্ষণ পর জ্যাকসনের লাল কার্ডে চেলসি ১০ জনের হয়ে যায়। ছয় মিনিটের ব্যবধানে এই তিনটি মুহূর্তে বদলে গেলো ম্যাচ।
মারেসকাও সেই কথাই বললেন, ‘ছয় মিনিট খেলার গতি পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছিল।’ চেলসির শেষ ষোলোতে ওঠার আশা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট তাদের। ফ্লামেঙ্গোর চেয়ে তিন পয়েন্ট পেছনে তারা। তিউনিসিয়ার এসপারেন্সের বিপক্ষে শেষ গ্রুপ ম্যাচ তাদের।
ম্যাচ হারের পর বিব্রত হয়েছেন মারেসকা। তিনি বললেন, পরের প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমের প্রস্তুতির জন্য এই ম্যাচকে ব্যবহার করেছেন।
৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলানোর কারণ এভাবে বললেন চেলসি কোচ, ‘প্রথমবার আমরা ভিন্ন ফরমেশনে খেললাম, শুধু পরের মৌসুমের জন্য প্রস্তুত হতে, আরও বিকল্প পেতে।’
তিন জনের আক্রমণভাগের ডানপাশে ছিলেন কোল পালমার। ম্যাচে সেভাবে কোনও ছাপ রাখতে পারেননি। মারেসকা বললেন, ‘আজকের পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন, আমি মনে করি পরিকল্পনা এক ঘণ্টা ধরে ঠিক ছিল। তারপর গোল খেলাম, পরে আরেকটি।’
এই হার প্রাপ্য ছিল বললেন মারেসকা, ‘আমি মনে করি শেষ দিকে, ১০ জন নিয়ে, উপযুক্ত দল হিসেবে তারা (ফ্লামেঙ্গো) এই ম্যাচ জিতেছে।’
ইতালিয়ান কোচ আরও যোগ করেছেন, ‘আমরা কঠিন ম্যাচ প্রত্যাশা করছিলাম কারণ ফ্লামেঙ্গো খুব ভালো দল, ভালো খেলোয়াড় ও ভালো কোচ আছেন। তারা খুব ভালো খেলেছে এবং ব্রাজিলে তারা লিগের শীর্ষ দল, অনেক ম্যাচ অজেয়। তাই আমাদের জন্য এটা বিস্ময়কর ছিল না।’