X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

টি-টোয়েন্টিতে কি ভাগ্য বদলাবে টাইগারদের?

রবিউল ইসলাম
০২ জানুয়ারি ২০১৭, ২৩:২৬আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০১৭, ২৩:৪২

অনুশীলনের ফাঁকে মাশরাফি-সাকিব মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে টাইগাররা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কের সেই ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে বিটিভি ও চ্যানেল নাইনে।

বাংলাদেশ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে। প্রায় ৭ মাস পর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আবারও মাঠে নামছে বাংলাদেশ। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিউইদের বিপক্ষে কোনও সুখস্মৃতি নেই টাইগারদের। সব ম্যাচেই হারতে হয়েছে লাল-সবুজদের। তার ওপর ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে মানসিকভাবে চাপে থেকেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

এই ৭ মাসের লম্বা বিরতিতে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন, নাসির হোসেন, আবু হায়দার, আল আমিন হোসেন ও আরাফাত সানি। কিউইদের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েছেন শুভাশিষ রায়, মোসাদ্দেক হোসেন, রুবেল হোসেন, তাইজুল ইসলাম ও ইমরুল কায়েস।

মূল একাদশ কি হচ্ছে-এটা হয়তো মঙ্গলবার সকালে ম্যাচের আগে নিশ্চিত হওয়া যাবে। একাদশ যেমনই হোক না কেন, ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের জ্বালা জুড়াতে টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলতে হবে টাইগারদের।

অবশ্য জয়ের বিশ্বাস নিয়েই মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২২ গজে নামবে বাংলাদেশ। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কের সেই ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে বিটিভি ও চ্যানেল নাইনে।

কিউইদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও র‌্যাংকিংয়ে অবনতি হয়নি মাশরাফিদের। কিন্তু পয়েন্টে ব্যবধান কমে এসেছে আট নম্বরে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে। বাংলাদেশের ৯১ পয়েন্টের বিপরীতে পাকিস্তানের পয়েন্ট এখন ৮৯।

‘ভালো শুরু চাই তোমার কাছে’-তামিমকে কি এটাই বলছেন কোচ হাথুরুসিংহে? এখন ওয়ানডের হতাশা পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টির নতুন চ্যালেঞ্জ টাইগারদের সামনে। প্রতিপক্ষ আরও কঠিন। কেননা টেস্ট কিংবা ওয়ানডের তুলনায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরও বেশি ভয়ঙ্কর কিউইরা। এর আগে যতবারই কিউইদের সঙ্গে টাইগারদের দেখা হয়েছে, ততবারই তাদের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হতে হয়েছে টাইগারদের।

দুই দলের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। এখন পর্যন্ত দুই দলে এক অন্যের বিপক্ষে খেলেছে চারটি ম্যাচ। তাতে লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও ছিল না বাংলাদেশের। এমনকি শক্তিশালী হয়ে উঠা বাংলাদেশ গত মার্চে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে বেঁধে রেখেছিল ১৪৫ রানে। ৪ ওভারের স্পেলে মুস্তাফিজ ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ২২ রানের খরচে। ১৪৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে টাইগাররা ১৫.৪ ওভারে গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৭০ রানে।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির ওই ম্যাচের ফলও ছিল  হতাশার। ড্যানিয়েল ভেট্টরির ঘূর্ণিতে ১৭.৩ ওভারে ৭৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১০ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয় দুই দল। পাল্লেকেলেতে আগে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ড  ম্যাককালামের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে তোলে ১৯১ রান। জবাবে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে করতে পারে ১৩২ রান।

এদিকে ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এটা দুই দলের তৃতীয় লড়াই। ওটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিউেইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। আগে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান তোলে। জবাবে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় ৯ উইকেটে স্বাগতিকরা তোলে ১৮৯ রান। বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ১৫ রানের ব্যবধানে।

খারাপ সময় কাটানো মাহমুদউল্লাহকে হয়তো রণকৌশলটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন হাথুরুসিংহে! সবমিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কেননা স্বাগতিকরা এই ফরম্যাটে প্রতিপক্ষ হিসেবে যে কোনও দলের চেয়ে পরাক্রমশালী।

বাংলাদেশেরকে হারের বৃত্ত ভাঙতে হলে ব্যাটিং ভালো করতে হবে। আর সেক্ষেত্রে গুরুদায়িত্ব পালন করত হবে সিনিয়র ক্রিকেটারদেরকেই। দলের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে এমনটাই মনে করনে। অবশ্য একটা জায়গায় সাকিব আল হাসানের ভাবনটা একটু আলাদা। দায়িত্ব সম্পর্কে কোচ বলেছেন, ‘বিদেশের মাটিতে সিনিয়রদেরই এগিয়ে আসতে হবে। জুনিয়রদের ওপর বেশি ভরসা করা যায় না। সিনিয়ররা ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করলে সেটা বড় কিছুতে রূপ দিতেই হবে।’

হাথুরুসিংহের এই কথায় একমত হতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ‘দলে খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১১ জন। এর মধ্যে ছয়জন জুনিয়র খেলোয়াড় যখন খেলবে, তখন তাদেরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। সিনিয়ররাই সব করবে এমন ভাবা হলে তো পাঁচজন খেলোয়াড় নিয়েই খেলতে হবে। দলের জয়ের জন্য শুধু সিনিয়রদের ওপর নির্ভর করলে হবে না। জিততে হলে সবাইকেই ভালো খেলতে হবে।’

কোচ অবশ্য তার সিনিয়রদের ওপরই আস্থা রাখছেন। আজ (সোমবার) অনুশীলন পর্বে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। প্রত্যেক সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছে গিয়ে আলাদা করে কথা বলেছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ। এখন দেখার বিষয় কোচের এই আস্থার জবাব সিনিয়র ক্রিকেটাররা দিতে পারেন কিনা!

/কেআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
নির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
উপজেলা নির্বাচননির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
আমের মিষ্টি আচার বানাবেন যেভাবে
আমের মিষ্টি আচার বানাবেন যেভাবে
জিসিসি’র সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন
জিসিসি’র সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল