X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

রোমানের সরাসরি অলিম্পিক খেলার আনন্দ

তানজীম আহমেদ
১৪ জুন ২০১৯, ১৩:২৮আপডেট : ১৪ জুন ২০১৯, ১৭:১৬

রোমান সানা বাংলাদেশ থেকে সাধারণত বিশেষ বিবেচনায় ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে অলিম্পিক গেমসে অংশ নেন অ্যাথলেটরা। সেই বৃত্ত ভেঙে গতবার রিও অলিম্পিকে নাম লিখেছিলেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। আর আগামী বছর টোকিওতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা লাভ করেছেন রোমান সানা। বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ ব্যক্তিগত ইভেন্টে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার।

এমন অভাবনীয় সাফল্যের পর রোমানের স্বপ্নের পরিধিততে মেলেছে আরও ডালপালা। কিন্তু এখানেই থামতে চান না তিনি। টোকিও অলিম্পিকেও পদক জয়ের আকাঙ্ক্ষা জেগেছে তার মনে। নেদারল্যান্ডস থেকে রোমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। স্বপ্ন ছিলো অলিম্পিকে সরাসরি খেলার, সেটা পূরণ হয়েছে। এখন অলিম্পিকের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সেখানে যেন পদক জিততে পারি সেই চেষ্টা করবো। আমার নতুন লক্ষ্য এখন সেটাই। আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে চাই।’

রিকার্ভ ব্যক্তিগত ইভেন্টে সেমিফাইনালে মালয়েশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হেরে গেলেও রোমানের কোনও আক্ষেপ নেই। কোয়ার্টার ফাইনালে চোখ রেখে টুর্নামেন্টে অংশ নেন তিনি, সেখানে সেমিফাইনালে পৌঁছে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। নিজের কাছেও ছিল সেটা কল্পনাতীত, ‘সেমিফাইনালে যে যাব চিন্তা করিনি। কোয়ার্টার ফাইনালই লক্ষ্য ছিলো। তবে আমি আমার খেলা খেলে গেছি। প্রতিপক্ষ কে সেটা নিয়ে ভাবিনি। জানি সবাই শক্তিশালী। কিন্তু লড়াই করেছি। তাতে ইতিবাচক ফল হয়েছে।’

প্রতিযোগিতার ভেন্যুতে গিয়ে রোমানের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাজ করেছে। বিশেষ করে বৈরী আবহাওয়ায় কতটুকু কী করতে পারবেন সেটা ছিল চিন্তার বিষয়, মাঝেমধ্যে তো আত্মবিশ্বাসও কমে গিয়েছিল। রোমান নিজেই শুনিয়েছেন সেই কঠিন সময় পাড়ি দেওয়ার কথা, ‘প্রতিযোগিতা শুরুর আগে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু এখানে এসে বৃষ্টি, বাতাস ও ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়তে হয়েছে। তাই আত্মবিশ্বাস কিছুটা কমে যায়। তবে যখন খেলেছি তখন কিছুটা নির্ভার ছিলাম। যা হওয়ার হবে, এই মনে করে খেলে গেছি। বিশ্বের সেরা আর্চারদের মুখোমুখি হতে গিয়ে তাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

জার্মানির কোচ মার্টিন ফ্রেডরিকের সান্নিধ্যে এসে বাংলাদেশের আর্চাররা একটু একটু করে বদলে যেতে শুরু করেছেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্রেডরিক কাজ শুরু করেছেন। তার দ্বিতীয় বছরে বাংলাদেশ পেয়েছে বড় সাফল্য। রোমানের কাছে ফ্রেডরিক লিজেন্ডের মতো, ‘ফ্রেডরিক শুধু কোচ নয়। আমাদের কাছে একজন লিজেন্ড। বড় মাপের কোচ হিসেবে আমাদের বদলে দিয়েছেন তিনি। তার কাছ থেকে আধুনিক দীক্ষা পেয়ে আমরা বদলে যেতে শুরু করেছি।’

আগামী রবিবার বিশ্ব আর্চারিতে ব্রোঞ্জ পদকের লড়াই। রোমান অবশ্য পদক জেতা নিয়ে ভাবছেন না, ‘সেমিফাইনালে ব্রোঞ্জ জেতা কঠিন হতে পারে। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, এতেই আমি খুশি। তাই নির্ভার থাকবো। প্রতিপক্ষ আমার চেয়ে অনেক ভালো। পদক জিততে না পারলে কোনও আফসোস নেই। আমার আসল লক্ষ্য তো পূরণ হয়েছে। এতেই আমি খুশি।’

/টিএ/এফএইচএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
গাছশূন্য ২০ কিলোমিটার সড়ক, তাপপ্রবাহে পথচারীদের দুর্ভোগ
গাছশূন্য ২০ কিলোমিটার সড়ক, তাপপ্রবাহে পথচারীদের দুর্ভোগ
প্রথমবার মেজর লিগ সকারের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ মেসি
প্রথমবার মেজর লিগ সকারের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ মেসি
গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৪১
গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৪১
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ