ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে নেমেছেন। রাজধানী দিল্লি থেকে শাসক দল বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তাই বলে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার অধিকার কি তার নেই? ভারতের হয়ে ৫৮ টেস্ট, ১৪৭ ওয়ানডে ও ৩৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারের সেই অধিকার অবশ্যই আছে। গৌতম গম্ভীর মাঝেমাঝেই ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেন এবং জোরেসোরেই। এই যেমন আইসিসির র্যাঙ্কিং পদ্ধতিকে কটাক্ষ করে বলে দিলেন, অস্ট্রেলিয়া কিভাবে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল হয় সেটি তিনি বুঝতে পারছেন না।
৪২ মাস পর আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটি অতিসম্প্রতি খুইয়েছে ভারত। টিম পেইনের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া উঠে গেছে শীর্ষস্থানে আর বিরাট কোহলির ভারত ১ নম্বর জায়গা থেকে নেমে গেছে তিনে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে নিউজিল্যান্ড। এর কারণ হলো নতুন র্যাঙ্কিংয়ে ভারত ২০১৬-১৭ মৌসুমের কোনও পয়েন্টই পায়নি। সব দলের ক্ষেত্রেই এই র্যাঙ্কিং পদ্ধতি যদিও কার্যকর, গম্ভীর আশ্বস্ত নন।
ভারতের ৩৮ বছর বয়সী সাবেক ওপেনার স্টার স্পোর্টসের টক-শো ক্রিকেট কানেক্টেডে বলেছেন, ‘না, আমি ভারতের তিন নম্বরে নেমে যাওয়ায় আশ্চর্য নই। আমি তো এই পয়েন্ট ও রাঙ্কিং পদ্ধতিতেই বিশ্বাস করি না। সম্ভবত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট পদ্ধতি সবচেয়ে খারাপ। দেশের বাইরে টেস্ট জিতলেও আপনি সমান পয়েন্ট পাবেন… এটি হাস্যকর।’
গত কয়েক বছর ধরে ভারতই সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দল বলে মনে করেন গম্ভীর। ‘অবশ্যই, এটি শতভাগ সত্য। সামগ্রিক কার্যকর ফল বিবেচনা করলে আপনি দেখবেন দেশের বাইরে ভারত সিরিজ হেরেছে ঠিকই, আবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছেও। তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি টেস্ট জিতেছে। ইংল্যান্ডে একটি টেস্ট জিতেছে… খুব বেশি দল কিন্তু এটা করতে পারেনি।’
গম্ভীর ভারতকেই এখনও টেস্টের এক নম্বর দল হিসেবে দেখেন। তার কারণ, কয়েক বছর ধরে দেশের বাইরে খুবই বাজে ফল করছে অস্ট্রেলিয়া, ‘দেশের বাইরে কয়েক বছর ধরে খুবই করুণ তাদের (অস্ট্রেলিয়া) পারফরম্যান্স, বিশেষ করে উপমহাদেশে।’
এ বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টেস্ট সিরিজটি যাতে হয় সেজন্য ভারত প্রয়োজনে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে যেতে রাজি হয়েছে। গম্ভীরের চোখে এটি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) ঔদার্য। ‘খুবই ভালো কাজ করেছে বিসিসিআই। দুর্দান্ত। এটি খুবই ইতিবাচক লক্ষণ। তারা সম্ভবত বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে তাকিয়েছে, দেশের মনোভাবই পাল্টে যাবে এতে। টেস্ট সিরিজ জেতা এক বিষয়, এটাও গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এই সিদ্ধান্তে ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার মনোভাবও পাল্টে যাবে।’