লালার ব্যবহার বন্ধের আলোচনা চলছে আইসিসিতে। শেষ পর্যন্ত যদি সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাতে বোলাররা পড়বেন বিপাকে। অভ্যাসগত কারণে অনেকেরই হাত চলে যেতে পারে মুখে। এই অবস্থা যেন না হয়, সেজন্য মাস্ক পরে বোলিংয়ের পরামর্শ পাকিস্তানের প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হকের।
করোনাভাইরাসে বন্ধ ক্রিকেট বিশ্বের সব খেলা। পরিস্থিতি অনেক দেশে নিয়ন্ত্রণে আসায় মাঠে ক্রিকেট ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে আইসিসি, সে অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোকে গাইডলাইন দিয়েছে তারা। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার দেওয়া গাইডলাইনে অনেক কিছুই পাল্টে যাচ্ছে। সেগুলো মানিয়ে নিতে ক্রিকেটারদের অসুবিধা হবে নিশ্চিত, তবে সবচেয়ে কঠিন হবে বোলারদের জন্য। আইসিসির ক্রিকেট কমিটি লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে। আইসিসির গাইডলাইনেও লালার ব্যবহার বন্ধের কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু অভ্যাসগত কারণে বোলারদের মুখে হাত যাবেই বলে মনে করছেন মিসবাহ। তাই মাস্ক ব্যবহারের কথা বলেছেন তিনি। ক্রিকেট বাজ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘এটা মোটেও সহজ হবে না (লালার ব্যবহার ছাড়া বোলিং)। খেলোয়াড়রা তাদের ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকে এই অভ্যাসের সঙ্গে বেড়ে ওঠে। এমনকি একজন খেলোয়াড় যদি নতুন এই নিয়ম-নীতি মাথাতেও রাখে তারপরও প্রবৃত্তিগতভাবে তার মুখে হাত যাবেই।’
তাই তার পরামর্শ, ‘আমাদের হয়তো এই বিষয়টা সমাধানের জন্য কিছু করতে হবে। যেমন হতে পারে বোলারদের মাস্ক পরা কিংবা অন্য কোনও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে তারা অভ্যাসগত কারণে লালার ব্যবহার না করে।’
জূলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তান খেলবে তিন টেস্ট ও সমান টি-টোয়েন্টি। ওই সিরিজ সামনের রেখে প্রস্তুতি ক্যাম্প করার পরিকল্পনা মিসবাহর। আইসিসির গাইডলাইন মেনে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন সেরে তারা যেতে চায় ইংল্যান্ডে। কিন্তু লালার ব্যবহার বন্ধ হলে ইংলিশ কন্ডিশনে পাকিস্তানের বোলারদের ভুগতে হবে বলে মনে করছেন মিসবাহ।
বোলিং নিয়ে নিজের দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন তিনি এভাবে, ‘ইংলিশ কন্ডিশনে আমাদের বোলাররা কঠিন পরীক্ষায় পড়বে। কারণ তারা বাড়তি সুইং পেতে প্রতিনিয়ত লালা দিয়ে বল চকচকে করে থাকে। আপনি অন্য আরও বৈধ উপায়ে বল চকচকে করতে পারবেন, কিন্তু লালা বলের এক পাশ ভারি রাখা নিশ্চিত করে। আর এই বিষয়টা পেস বোলারদের খুব সাহায্য করে।’