এমন গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট আর কখনো হয়নি। যেখানে থাকছে না জিভে জল এনে দেওয়ার মতো কোনও ব্যাপার। থাকবে কী করে? করোনাকাল হওয়ায় ইউএস ওপেনে ছেলে ও মেয়েদের বর্তমান দুই চ্যাম্পিয়নই খেলছেন না। তার ওপর রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালও নেই। থাকছে না প্রেরণাদায়ী দর্শকরাও। এমন মহামারির মধ্যেই জীবানু সুরক্ষিত পরিবেশে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ইউএস ওপেন।
প্রথম দিনেই আজ আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে ১৮তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের লড়াই কোর্টে নামবেন ফেবারিট ও শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচ। তার প্রতিপক্ষ বসনিয়ান দামির জুমহুর। মেয়েদের এককে চেক ক্যারোলিনা প্লিসকোভা মুখোমুখি হবেন ইউক্রেনের আনহেলিনা কালিনিনার।
উদ্বোধনী দিনে আরও খেলবেন ব্রিটেনের ক্যামেরুন নরি ও কাইল এডমুন্ড। র্যাঙ্কিংয়ের ৭৭তম নরির প্রতিপক্ষ আর্জেন্টাইন নবম বাছাই ডিয়েগো শোয়ার্টজমান। র্যাঙ্কিংয়ের ৪৪তম এডমুন্ড মুখোমুখি হবেন অ্যালেক্সান্ডার বাবলিকের। এদিন কোর্টে নামার কথা জাপানের নাওমি ওসাকারও। চোট আক্রান্ত নাওমির প্রতিপক্ষ জাপানের মিসাকে দোই।
অন্যান্যবার আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে ২৩ হাজার দর্শক থাকলেও করোনাকালে পরিস্থিতিটা ভিন্ন। কড়া স্বাস্থ্যবিধির কারণে কয়েকজন খেলোয়াড়, অফিসিয়াল ও গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত থাকার সুযোগ পাবেন। তবে এই পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকা জোকোভিচ, ‘পরিস্থিতিটা সত্যিই অস্বাভাবিক। তবে আমাদের এর সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে।’
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর করোনাকালের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামই হচ্ছে এবারের ইউএস ওপেন। কারণ মহামারি পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ মৌসুমই বাতিল হয়ে গেছে। এমনকি করা যায়নি উইম্বলডনও। তাই এই গ্র্যান্ড স্লামে খুব কড়াকড়িই থাকছে স্বাস্থ্যবিধিতে। কোনও খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। সঙ্গে আইসোলেশনেও থাকতে হবে ১০ দিন।
অনেক খেলোয়াড় জীবানু সুরক্ষিত হোটেলে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলেও কেউ কেউ নিজের জন্য বাসা ভাড়া করে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেমন ব্যক্তিগত বাসা ভাড়া নিয়েছেন সার্বিয়ান তারকা জোকোভিচ। যদিও সেটি জীবানু সুরক্ষিত ও ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা রক্ষীদের নজরদারিতেই থাকবে।
অপর দিকে কিংবদন্তি মার্গারেট কোর্টের ২৪তম গ্র্যান্ড স্লাম জেতার রেকর্ডে ভাগ বসাতে সেরেনা উইলিয়ামস কোর্টে নামবেন মঙ্গলবার।