এমনিতেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সুযোগ হয় না মুমিনুল হকের। টেস্ট একমাত্র ভরসা, সেটাও খেলতে হয় লম্বা সময় পরপর। বাংলাদেশ দল মার্চে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেও মুমিনুল খেলেছেন তারও আগে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলেন শেষ ম্যাচ। এরপর কেবল অপেক্ষা। শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিতে সেই অপেক্ষা আরও বাড়লো টেস্ট অধিনায়কের।
সোমবার নির্ধারিত শ্রীলঙ্কা সফরটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়েছে। আবার কবে মাঠে ফেরার সুযোগ পাবেন, জানেন না মুমিনুল। সিরিজ স্থগিত প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘চেয়েছিলাম তো মাঠে ফিরতে। এজন্য অনুশীলনে কোনও ঘাটতি রাখছিলাম না। ব্যক্তিগত ট্রেনিং শেষে দলগত ট্রেনিং করছিলাম। কিন্তু সিরিজটি স্থগিত হলো। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন আসলে কঠিন হতো।’
এ বছর বাংলাদেশের আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মুমিনুল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নতুন বছরের, ‘জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আসার কথা রয়েছে। ওরা এলে ক্রিকেটে ফিরতে পারবো। অন্যথায় আমার অপেক্ষা আরও লম্বা হতে পারে।’
এই মুহূর্তে মুমিনুলের একটাই প্রার্থনা, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে ভালো। নিশ্চিন্তে মাঠে নেমে খেলতে পারবো।’
২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্টে অভিষেক মুমিনুলের। ৪০ ম্যাচে ৪০.৮৫ গড়ে ২ হাজার ৮৬০ রান করা মুমিনুলের ক্যারিয়ারে ১০ মাসের বিরতি কখনও আসেনি। দুই টেস্টের মাঝে সর্বোচ্চ ৮ মাস দূরে ছিলেন, সেটাও ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সে সময়ে অবশ্য রঙিন পোশাকের দলে ছিলেন। তাই দীর্ঘ সময় টেস্ট না খেললেও সমস্যা ছিল না।
সীমিত ওভারের দলে না থাকা নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও সরাসরি কিছু বলতে চাইছেন না মুমিনুল, ‘বিষয়টি মোটেও আমার হাতে নেই। যারা দল সাজায় শুধুমাত্র তারাই বলতে পারবে কেন আমি নেই ওয়ানডেতে।’
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিন ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। করোনা মহামারিতে দুই বোর্ড আলোচনায় সিরিজ স্থগিত করে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর সফর করতে আন্তরিক হয় বিসিবি। কিন্তু কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে আবারও স্থগিত হয়েছে শ্রীলঙ্কা সফর। আর তাতেই বাড়লো মুমিনুলের অপেক্ষা।