X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১
৩ পেরিয়ে বাংলা ট্রিবিউন

আজও দাবা উপভোগ করি

রানী হামিদ
১৩ মে ২০১৭, ১৫:৫৮আপডেট : ১৪ মে ২০১৭, ০০:২৫

রানী হামিদ অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও বাংলা ট্রিবিউনের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। এমন আনন্দঘন মুহূর্তে বাংলা ট্রিবিউন যে দাবার কথা মনে রেখেছে, সেজন্য সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আশা করি, প্রতিষ্ঠানটি সব সময় দাবার প্রতি খেয়াল রাখবে। একজন খেলোয়াড় তৈরি করতে মিডিয়াকে অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে হয়। আমাদের মিডিয়া অবশ্য ক্রিকেট নিয়েই বেশি মাতামাতি করে। কিন্তু আমি মনে করি, ক্রিকেট অনেক উপরে উঠে গেছে বলে এর পেছনে পড়ে থেকে লাভ নেই। বরং অন্য খেলাগুলোর দিকে মিডিয়ার দৃষ্টি দেওয়া উচিত। মফস্বল শহর থেকে অনেক ছেলেমেয়ে দাবা খেলতে আসে। মিডিয়া তাদের কথা তুলে ধরলে মফস্বলের অন্য ছেলেমেয়েরা দাবার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। আমি বাংলা ট্রিবিউনের মাধ্যমে মিডিয়ার কাছে অনুরোধ করবো, এই জায়গায় একটু পরিবর্তন আনার জন্য। মিডিয়ার একটু আন্তরিকতা পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে অনেক সাফল্য বয়ে আনতে পারবে।

ছোটবেলা থেকে আনন্দ নিয়ে দাবা খেলছি। আমাদের সময় এতো সুযোগ-সুবিধা ছিল না, শেখানোর মতো কেউ ছিলেন না। নিজের চেষ্টায় দাবায় হাত পাকাতে হয়েছে। অথচ এখন কত সুবিধা খেলোয়াড়দের! আমি অবশ্য এখনও দাবা উপভোগ করি। উপভোগের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েই গত মার্চে কাঠমান্ডুতে এশিয়ান জোনাল দাবায় উন্মুক্ত বিভাগে চ্যাম্পিয়ন।

এখনকার ছেলেমেয়েরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পায়। অথচ আমাদের নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে খেলতে হয়েছে। ওই সময় কোনও ক্লাব ছিল না। আমি অবশ্য ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর লন্ডনে খেলতে যেতাম। বাংলাদেশ বিমান লন্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা করে দিতো। তবে বাকি খরচ নিজেকেই বহন করতে হতো। এখনকার মতো সুযোগ-সুবিধা না পেলেও আমরা মনের আনন্দে খেলেছি, খেলার জন্য খেলেছি। কিছু পাওয়ার আশায় দাবায় নাম লেখাইনি।

দাবায় মেয়েদের পেছনে পড়ে থাকা ভীষণ কষ্ট দেয় আমাকে। এই খেলায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা অনেক পিছিয়ে। আগের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা অনেক বাড়লেও মেয়েরা তেমন এগিয়ে আসছে না। গ্র্যান্ডমাস্টাররা তাদের পেছনে অনেক সময় ব্যয় করছেন। দুই গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ও আব্দুল্লাহ আল রাকিব বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তরুণ দাবাড়ুদের। আমিও চেষ্টা করেছিলাম, তবে সেটা আশির দশকে। তখন বয়স কম হলেও চেষ্টা করেছিলাম মেয়েদের জন্য কিছু করার। নিজ উদ্যোগে তিনটি টুর্নামেন্টের স্পন্সর যোগাড় করেছিলাম।

পরবর্তীতে সংগঠকের ভূমিকায় আর থাকা হয়নি। তবে লেখক হিসেবে দাবায় অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। ‘মজার খেলা দাবা’ নামে একটি বই লিখেছি স্বামীর অনুপ্রেরণায়। বইটি বাংলাদেশ ছাড়াও কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়।

লেখক : মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার

/আরআই/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নগরীতে গরমের তীব্রতা বাড়ার মূল কারণ ভুল নগরদর্শন: বাপা
নগরীতে গরমের তীব্রতা বাড়ার মূল কারণ ভুল নগরদর্শন: বাপা
ওডেসায় একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫
ওডেসায় একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫
বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যায়পাল নিয়োগের পরামর্শ ইউজিসির
বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যায়পাল নিয়োগের পরামর্শ ইউজিসির
‘নৌকার প্রার্থী রুহেলকে জেতানোর জন্য অনেক অপকর্ম করেছি’
‘নৌকার প্রার্থী রুহেলকে জেতানোর জন্য অনেক অপকর্ম করেছি’
সর্বাধিক পঠিত
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
ফালুর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
ফালুর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
১০ দিনে ভরিতে কমলো ৮ হাজার টাকা
সোনার দাম১০ দিনে ভরিতে কমলো ৮ হাজার টাকা
ট্রাকের চাকায় পিষে দেওয়া হলো ৬ হাজার কেজি আম
ট্রাকের চাকায় পিষে দেওয়া হলো ৬ হাজার কেজি আম