গত বৃহস্পতিবার হিসাব বিভাগে কর্মরত সালেহা সুলতানা নাজমার আকস্মিক মৃত্যুতে ফুঁসে উঠেছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঘটনার জন্য ক্রীড়া পরিষদের সহকর্মী ও ইউনিয়ন পরোক্ষে ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামকে দায়ী করে তার অপসারণ ও বদলির দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এরপর দুই কার্য দিবস পেরিয়েছে। গতকাল সেখানে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি আয়ত্তে এনেছেন যুব ও ক্রীড়া সচিব। যার ফলে মঙ্গলবার ক্রীড়া পরিষদের সচিব সেখানে আগের মতো ঘণ্টা দুয়েক অফিস করার সুযোগ পেয়েছেন।
ক্রীড়া পরিষদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে। দুই মাস আগে পরিমল সিংহের জায়গায় আমিনুল ইসলাম নিয়োগ পান। তবে সরাসরি অফিস করেছেন বেশি দিন হয়নি। ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে ক্রীড়া পরিষদে তার সরাসরি কাজ করার অভিজ্ঞতা ১৫ থেকে ২০ দিনের।
এই ক’দিন এসে নতুন সচিব নিয়ম কানুন মেনে চলার প্রতি জোর দিয়ে এসেছেন প্রতিনিয়ত। তাতে কড়া প্রশাসক হিসেবেও পরিচিতি পান তিনি। যেটা অধীনস্থরা ভালোভাবে নিতে পারেননি।
আজ পাঁচ দিন পর ক্রীড়া পরিষদের টাওয়ারে অফিস করে আমিনুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমাদের ক্রীড়া সচিব স্যার সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন কোনও সমস্যা দেখছি না। সবাই মিলে ক্রীড়া উন্নয়নে কাজ করে যাবো।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘সচিব স্যার ও মন্ত্রী মহোদয়ের আশ্বাসে আমরা আর কিছু করছি না। আগের মতোই কাজ করছি সবাই। তবে আশা করছি সচিব স্যার আগের মতো আর খারাপ ব্যবহার করবেন না।’