ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারে শুরুতে সার্চ কমিটি গঠন হয়েছিল। তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবার নতুন করে আরেকটি কমিটি গঠন হয়েছে।
এই কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যর প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে, ‘ক্রীড়াঙ্গনে অধিকতর গতিশীলতা আনয়নের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিতকরণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অধিভুক্ত ফেডারেশনসমূহের গঠনতন্ত্র ও অ্যাফিলিয়েশন প্রাপ্তির বিদ্যমান নীতিমালা যুগপোযোগীকরণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কমিটি গঠন করা হলো।’
এই কমিটির কার্যপরিধি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে– জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ আলোকে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহের জন্য আদর্শ গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, অ্যাফিলিয়েশন প্রাপ্তির বিদ্যমান নীতিমালা যুগোপযোগীকরণ, অ্যাফিলিয়েশন সংখ্যা আইন ও যৌক্তিকতার সঙ্গে নির্ধারণ করা, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নীতিমালা প্রণয়ন (আইওসি ম্যান্ডেটভুক্ত ৬টি গেমস ব্যতীত)।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২৪ জুন ৭ সদস্যের কমিটি করে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে এই প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে। যদিও কমিটির কোনও আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়নি।
নতুন কমিটিতে সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা ও সার্চ কমিটির আরেক সদস্য প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার থাকলেও অন্য তিন সদস্য মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদ, বিকেএসপির ডিজি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম ও এমএম কায়সার নেই।
নতুন এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া-১) সেলিম ফকিরকে। সদস্য সচিব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) হুমায়ন কবীর। কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন জোবায়েদুর রহমান রানা, আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ব্যারিস্টার শাইখ মাহাদী, উশু ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লে. কর্নেল আবু আইয়ুব মোহাম্মদ হাসান ও জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জামিল।