X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

‘আমার একটা আফসোস আছে’

হিটলার এ. হালিম
১৩ জুন ২০১৬, ২০:৪৮আপডেট : ১৯ জুন ২০১৬, ১৭:৩৮

শামীম আহসান ৩

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) বিদায়ী সভাপতি শামীম আহসান তার মেয়াদে তিনি সফল না ব্যর্থ তা বিচারের ভার ছেড়ে দিয়েছেন বেসিসের সদস্য, তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর। তিনি বলেন, ‘একটি স্বপ্নের কাজ আমরা শেষ করে যেতে পারিনি।’ তার আশা নতুন কমিটি এসে এক মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ করতে পারবে। জানালেন, দায়িত্ব ছেড়ে দিতে তিনি উদগ্রীব হয়ে আছেন। তার আশা, নতুন কমিটি পূর্ণ গতিতে বেসিসকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নেবে।  

শামীম আহসানের মতে, সফটওয়্যরার ও সফটওয়্যার পণ্যের ওপর ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা, সরকারি ক্রয়ে বা কাজে ৫০ ভাগ দেশীয় কোম্পানির অংশগ্রহণ, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রতি বছর নতুন ১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তৈরি হওয়া দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য অনন্য উদাহরণ তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, আমি সব সময় নতুনদের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাই। তারা উৎসাহ, উদ্দীপনার সঙ্গে এই খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

 শামীম আহসানের মেয়াদে দেশে একাধিকবার ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, বাংলাদশ ইন্টারনেট উইক, বেসিস সফটএক্সপো, বাংলাদেশ ইনফরমেশন সিকিউরিটি এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স, বিজনেস সফটওয়্যার শোকেস, বাংলাদেশ আইটি মার্কেটিং ফোরাম, ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট, ই-কমার্স নিয়ে দেশের প্রথম প্রদর্শনী ‘ই-কমার্স উইক’, ইউ-এস বাংলাদেশ টেক ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজিত হয়েছে।

আমার একটা আফসোস আছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। আমরা তাঁদের কাছে দাবি করেছিলাম, সরকারি যেকোনও কাজ এবং কেনাকাটায় স্থানীয় কোম্পানিগুলোর ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ থাকতে হবে, এ বিষয়ক একটা আইন করে দিতে। প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা তাতে সমর্থন দিয়েছিলেন। ওই আইনের খসড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। যারা বেসিসের নতুন কমিটিতে আসবেন তারা দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই এই কাজটা শেষ করতে পারবেন। 

 বাংলা ট্রিবিউন: আপনার মেয়াদকালকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

শামীম আহসান: মূল্যায়নের দায়িত্ব বেসিসের সদস্য, তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর ছেড়ে দিলাম। এটুকু বলতে পারি, আমার মেয়াদে বেসিসের নির্বাহী কমিটির সবাই (৯ জন) সক্রিয় ছিলেন। বিগত কমিটিগুলোতে দেখা গেছে, ৪-৫ জন কাজ করছেন, অন্যরা নিষ্ক্রিয়। এবার সেটা হয়নি। যার সুফল বেসিস পেয়েছে।

আমি মনে করি, আমাদের মেয়াদে বাজার উন্নয়ন, ম্যাচমেকিং, পলিসি অ্যাডভোকেসি যথেষ্ঠ পরিমাণে করতে পেরেছি। আমাদের ৩টি প্রোগ্রামে (বেসিসের সফটওয়্যার মেলা) সরকার প্রধান অংশ নিয়েছেন। এছাড়া আমরা সরকার প্রধানের সঙ্গে ৪ বার বৈঠক করেছি। সেই বৈঠক থেকে আমরা সরকার প্রধানের কাছ থেকে কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, পরামর্শ পেয়েছি যা এখাতের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।

 বাংলা ট্রিবিউন: আপনার মেয়াদের কোন কাজটিকে আপনি সফল বলতে চাইবেন?

 শামীম আহসান: সফটওয়্যরার ও সফটওয়্যার পণ্যের ওপর থেকে ১০ বছরের (২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল) জন্য কর অবকাশ সুবিধা আদায় একটা বড় কাজ বলে আমি মনে করি।

এছাড়া গত দুই বছরে আমরা দেশের বাজার (সফটওয়্যার ও সফটওয়্যার পণ্য) উন্নয়নে আমরা যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি বা যতগুলো ইভেন্ট করেছি দেশে ও বিদেশে তাতে বেসিসের ৩৫০ সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মাধ্যমে ৪ হাজার ওয়ান টু ওয়ান যোগাযোগ (কন্টাক্ট)ও বৈঠক করেছে। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। দেশীয় কোম্পানিগুলো বিদেশ থেকে কাজ পেতে এসব কন্টাক্ট ও বৈঠক কাজে দিয়েছে। শামীম আহসান ১

বাংলা ট্রিবিউন: এমন কোনও কাজ কি আছে, যা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু করতে পারেননি বা শুরু করেছিলেন শেষ হয়নি?

শামীম আহসান: আমার একটা আফসোস আছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। আমরা তাঁদের কাছে দাবি করেছিলাম, সরকারি যেকোনও কাজ এবং কেনাকাটায় স্থানীয় কোম্পানিগুলোর ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ থাকতে হবে, এ বিষয়ক একটা আইন করে দিতে। প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা তাতে সমর্থন দিয়েছিলেন। ওই আইনের খসড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। যারা বেসিসের নতুন কমিটিতে আসবেন তারা দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই এই কাজটা শেষ করতে পারবেন।  এই কাজটা শেষ করতে না পারাটাই আমার বড় আফসোস। 

বাংলা ট্রিবিউন: আপনারা ১০ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই কাজের অগ্রগতি জানতে চাই।

 শামীম আহসান: আমরা বাস্তবতার নিরিখে এই ঘোষণা দিয়েছিলাম। তথ্যপ্রযুক্তিতে আমাদের যে অগ্রগতি তাতে আমরা লক্ষ্য পূরণ করতে পারব বলে আশা রাখি। ২০১৮ সালের মধ্যে ১০ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী তৈরির ঘোষণা আমরা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়েই দিয়েছিলাম। যেসব উদ্যোগ আমরা নিয়েছি সেসবের বাস্তবায়ন ও ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০১৮ সালের শেষে ১০ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী তৈরি ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সম্ভব হবে। সরকারের তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে ৭ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পেশাজীবী রয়েছে। এরমধ্যে বেসিসের গবেষণা অনুযায়ী,তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১ লাখ ২০ হাজার এবং অন্যান্য খাতে ১ লাখ ৩০ হাজারের মতো তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর পেশাজীবী রয়েছে। ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিংয়ে জড়িত প্রায় সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ তরুণ। সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রায় ২ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী তৈরির প্রশিক্ষণ বা প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এখনও হাতে রয়েছে দুই বছরের বেশি সময়। ২০১৮ সালের শেষে ১০ লাখের অধিক তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী তৈরি ও তাদের কর্মসংস্থান করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।

এছাড়া গত দুই বছরে আমরা দেশের বাজার (সফটওয়্যার ও সফটওয়্যার পণ্য) উন্নয়নে আমরা যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি বা যতগুলো ইভেন্ট করেছি দেশে ও বিদেশে তাতে বেসিসের ৩৫০ সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মাধ্যমে ৪ হাজার ওয়ান টু ওয়ান যোগাযোগ (কন্টাক্ট)ও বৈঠক করেছে। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। দেশীয় কোম্পানিগুলো বিদেশ থেকে কাজ পেতে এসব কন্টাক্ট ও বৈঠক কাজে দিয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনারা বলেছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি দেশের জিডিপিতে ১ শতাংশ আবদান রাখবে। কীভাবে তা বাস্তবায়ন হবে যদি বিস্তারিত বলতেন।

শামীম আহসান: ‘আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তি খাত দেশের জিডিপিতে ১ শতাংশ অবদান রাখবে’  –এমন  ঘোষণা আমরাই দিয়েছিলাম। এ ঘোষণা দেওয়ার আগে আমরা ব্যাপক গবেষণা করেছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে রফতানি আয় বছরে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশ ব্যাংকের সি-ফর্মের জটিলতায় এটি সরকারি হিসেবে প্রায় ১৩২ মিলিয়ন ডলার,কিন্তু প্রকৃত অর্থে এটি প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার) ও ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিং পেশাজীবীরা প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের স্থানীয় বাজার প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মোট বাজার প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার, যা দেশের জিডিপির প্রায় ০.৫২ শতাংশ। এই অবস্থানে আসতে আমাদের আড়াই বছর লেগেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ধারাবাহিকতা থাকলে, পাবলিক প্রকিউরমেন্টে দেশি কোম্পানির জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলে, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিংয়ে নজর বাড়ালে এবং আন্তর্জাতিকমানের ভালো উদ্যোগ তৈরি হলে এই সময়ের মধ্যেই জিডিপিতে ১ শতাংশ অবদান রাখা সম্ভব হবে।

বাংলা ট্রিবিউন: প্রতি বছর ১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়ানোর একটা উদ্যোগও ছিল আপনাদের।

শামীম আহসান: আমরা এই ঘোষণা দিয়েছিলাম ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেসময় প্রতিবছর ১ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনার সম্মিলিত ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো। তখন বাংলাদেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৩ কোটি ৬১ লাখ। ওই ঘোষণা ছিল সরকার, টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, বেসিসসহ বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের।  

শামীম আহসান ২

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে। বেশ কিছু সরকারি সেবায় ডিজিটালের ছোঁয়া, ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতির ফাইবার অপটিক ক্যাবল পৌঁছে যাচ্ছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে জনগণ ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তির সেবা নিচ্ছে। পুরোপুরিভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে আরও বেশি কাজ করতে হবে সরকারকে। স্থানীয় কোম্পানিগুলো যাতে সরকারি কাজ পায় বা অগ্রাধিকার থাকে, বাজেটের এডিপিতে ন্যূনতম ১০ শতাংশ যাতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ দেওয়া ও খরচ করা হয়, বিদেশে বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসব প্রস্তাব আমরা আগে থেকেই করছি। উপরোক্ত বিষয়গুলোতে নজর দিলে ও দেশীয় কোম্পানির জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন দ্রুত হবে।

চলতি বছরের ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকারি হিসাব মতে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৫ কোটি ৮৩ লাখ। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী (এপ্রিল মাস) দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ২০ লাখ। গত আড়াই বছরে দেশে নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ।

বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষত সফটওয়্যার খাতের ভবিষ্যৎ কেমন দেখতে পাচ্ছেন?

শামীম আহসান: দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আরও কয়েকটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির এ দেশে আসার কথা। অন্যদিকে সরকার ২০২১ সাল নাগাদ এই খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিকমানের সক্ষমতা রয়েছে। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বেসিস ১ হাজার উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে ভালো ভালো উদ্যোগ তৈরি হচ্ছে। আমরা মনে করি, এসব সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ভবিষৎ ভালো হবে।

বাংলা ট্রিবিউন: ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে আপনার ভাবনা জানতে চাই।

শামীম আহসান: ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে। বেশ কিছু সরকারি সেবায় ডিজিটালের ছোঁয়া, ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতির ফাইবার অপটিক ক্যাবল পৌঁছে যাচ্ছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে জনগণ ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তির সেবা নিচ্ছে। পুরোপুরিভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে আরও বেশি কাজ করতে হবে সরকারকে। স্থানীয় কোম্পানিগুলো যাতে সরকারি কাজ পায় বা অগ্রাধিকার থাকে, বাজেটের এডিপিতে ন্যূনতম ১০ শতাংশ যাতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ দেওয়া ও খরচ করা হয়, বিদেশে বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসব প্রস্তাব আমরা আগে থেকেই করছি। উপরোক্ত বিষয়গুলোতে নজর দিলে ও দেশীয় কোম্পানির জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন দ্রুত হবে।
/এইচএএইচ/

আরও পড়তে পারেন: পড়ন্ত ডাক বিভাগকে টেনে তুলছে পোস্ট ই-সেন্টার কর্মসূচি

সম্পর্কিত
আলাপচারিতায় ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম ও মানস ঘোষমুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও সংবাদ সংগ্রহ
করারোপ নীতি শিক্ষা সম্প্রসারণকে বাধাগ্রস্ত করবে: সলিমুল্লাহ খান
বাংলা ট্রিবিউনকে ওয়াসিকা আয়শা খান‘নারীরা যে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়ে চলেছেন, এর নেপথ্যে শেখ হাসিনা’
সর্বশেষ খবর
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা