X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ৩৪ শতাংশ

টেক রিপোর্ট
২৫ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:১৩আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:১৩

অনুষ্ঠানে অতিথিরে সঙ্গে আয়োজকরা পুরুষের পাশাপাশি নারীদের মধ্যে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করলে ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত বাড়বে, যা টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে (এসডিজি-৫) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে; যার মধ্যে সামাজিক বাধা, পারিবারিক নিষেধাজ্ঞা, প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানের অভাব, যথাযথ উৎসাহ না থাকা এবং আইসিটি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।  

বুধবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক গবেষণা উপস্থাপনায় এ তথ্য উঠে আসে। গবেষণাটি উপস্থাপন করেন বিআইআইডি-এর প্রধান নির্বাহী শহীদ উদ্দিন আকবর। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৪ জন নারীর মধ্যে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে এটি পরিচালনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ২৬ এপ্রিল ‘ইন্টারন্যাশনাল গার্লস ইন আইসিটি ডে’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি), ব্র্যাক, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও প্রেনিউরল্যাব যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির হেড অব চাইল্ড প্রটেকশন তানিয়া নুসরাত জামান। ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, টেকনোলজি ও পার্টনারশিপ স্ট্রেংদেনিং ইউনিটের পরিচালক কেএএম মোর্শেদ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হেড অব আইটি রবিউল আলম চৌধুরী নারীদের মধ্যে আইসিটি সহজতর ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন।

গবেষণার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আইসিটির ক্ষেত্রে মেয়ে ও নারীর অংশগ্রহণ যদি ৩৩ শতাংশ ৭ শতাংশ (প্রায় ৩৪) থেকে বাড়িয়ে ৮২ শতাংশে উন্নীত করা যায় তাহলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও ১ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব হতো। এতে সরকারের ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের উন্নীত হওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা আরও সহজ হতো।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইসিটিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব প্রদান করেন। এগুলো হচ্ছে আইসিটিকে সবার কাছে জনপ্রিয় করা, আইসিটিকে বিশেষায়িত পেশা হিসেবে মূল্যায়ন করা এবং ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের বার্তা সবালের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সাল নাগাদ নারী-পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা।  

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রতি বছর ২০ লাখ তরুণ-তরুণী শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। এই বিশাল সংখ্যক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার আইটি ক্ষেত্রে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ৩ লাখ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি আইটিতে উৎসাহিত করতে আমরা প্রশিক্ষণে নারীদের জন্য ২০-৩০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রেখেছি।

প্রসঙ্গত, জাতিসঙ্ঘের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) এই দিনটি প্রতি বছর এপ্রিল মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবারের মতো এবারও আয়োজন করতে যাচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ১৬৬টি দেশে দিবসটি পালন করছে।

 

 

/এইচএএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট