X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাবজি বন্ধের পাঁচ কারণ

ফয়সল আবদুল্লাহ
০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৪১আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪১

বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীন, ইরান, জর্ডান ও আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ পাবজি। আর এ সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। বিশেষ করে পাবজি কেন বন্ধ করা উচিৎ লিখে সার্চ করলেই বেরিয়ে আসবে উত্তরগুলো।

 

মারাত্মক সহিংস

বয়স্ক গেমাররা হয়তো ভাববেন, এ তো স্রেফ গেম মাত্র, এটাকে এত সিরিয়াসলি দেখার কী আছে? কিন্তু পাবজির কারণে ইতোমধ্যেই উপমহাদেশে ঘটে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত একগাদা সহিংস ঘটনা। গেমটার ধরনই যে এমন। দেখা মাত্রই মেরে ফেলতে হবে প্রতিপক্ষকে। আর এ ধরনের গেম তো শিশুর মনকে প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তুলবেই। বিশেষ করে যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নয়, বরং সরাসরি জ্বলজ্যান্ত ব্যক্তির বিপরীতেই খেলা হচ্ছে গেমটি।

 

অসামাজিক আচরণ

সারাক্ষণ ফোনের দুনিয়ায় থাকলে সামাজিক সম্পর্কের চর্চায় অনভিজ্ঞ ও অজ্ঞতা নিয়েই বড় হবে শিশুরা। যার প্রভাব পড়বে ভবিষ্যতের চাকরি, ব্যবসা কিংবা যোগাযোগের নানা ক্ষেত্রে। পাবজি-ফ্রি ফায়ারে আসক্তদের অনেককেই আগোরাফোবিয়ায় (জনসম্মুখে থাকার ভীতি) আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।

 

শরীরের ক্ষতি

যারা পাবজি-ফ্রি ফায়ার খেলে অভ্যস্ত, তারা দিনে অন্তত ৫টি ম্যাচ খেলেই থাকেন। এতে কমপক্ষে নষ্ট হতে পারে ৩-৪ ঘণ্টা। আবার রাতে শোয়ার আগে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ‘এক ম্যাচ’ খেলতে গিয়েও ঘুমের বারোটা বাজছে অনেকের। গেমের পুরোটা সময় টেনশনে থাকতে হয় বলে স্বপ্নেও হানা দেয় পাবজি-ফ্রি ফায়ারের শত্রুপক্ষ। এতে ‘কোয়ালিটি স্লিপ’টাও হয় না। এ ছাড়া টানা অনেকক্ষণ মোবাইলের পর্দায় ঘাড় বাঁকা করে তাকানো ও বসে থাকাটাও কম ক্ষতি করছে না স্বাস্থ্যের।

 

মনের ক্ষতি

অনেক গবেষণাতেই দেখা গেছে এ ধরনের শুটিং গেমে আসক্তরা দ্রুত কোনও কিছু নিয়ে টেনশনে পড়ে যায়। আবার কারণে-অকারণে ভয়-ভীতিতেও আক্রান্ত হয় অনেকে।

 

কাজের ক্ষতি

আসক্তি তৈরির তালিকায় পাবজি-ফ্রি ফায়ার আছে এক নম্বরে। এতে শিশু-কিশোররা অজান্তেই কম উৎপাদনশীল হচ্ছে। যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।

আবার আমাদের অবচেতন মন সারাক্ষণই কোনও না কোনও উৎস থেকে আনন্দ খুঁজে পেতে চায়। এ জন্য মস্তিষ্ক সবসময়ই শর্টকাট খোঁজে। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ ফেলেও অনেকের মন বলে, ‘যাই এক ম্যাচ পাবজি খেলে আসি।’ এতে দিনে যে সময়টা নষ্ট হয়, তাতে চাইলে নতুন কিছু শিখে ফেলা যায়।  

আর যারা আসক্ত, তারা সময় নষ্টের বিষয়টা হিসাবেই আনতে চায় না। কিন্তু দিনে ৩ ঘণ্টা করে হিসাব করলেও বছরে নষ্ট হবে প্রায় এক হাজার কর্মঘণ্টা। যা কিনা একজন চাকরিজীবীর ১৩০ দিন কাজ করার সমান!

 

সূত্র: স্কুপ হুপ

/এইচএএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সূর্যকুমারের ছক্কায় সেঞ্চুরি ও মুম্বাইয়ের জয়
সূর্যকুমারের ছক্কায় সেঞ্চুরি ও মুম্বাইয়ের জয়
ক্ষতচিহ্নিত হাড়মাংস অথবা নিছকই আত্মজনের কথা
ক্ষতচিহ্নিত হাড়মাংস অথবা নিছকই আত্মজনের কথা
চাইলেই কি বনের আগুন প্রতিরোধ সম্ভব
চাইলেই কি বনের আগুন প্রতিরোধ সম্ভব
একদিন আগে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
একদিন আগে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস