X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

৪০ নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ ও ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ মে ২০২৩, ২০:৫৭আপডেট : ০৮ মে ২০২৩, ২১:২৯

১৪টি বিপন্নপ্রায় ভাষাসহ ৪০টি নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ ও ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে আইসিটি বিভাগ।

রবিবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠী ভাষার ফন্ট ও কিবোর্ড নির্মাণ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) পরিচালক (নীতি, কৌশল ও পরিকল্পনা) মো. আবু সাঈদ এবং সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল কবির। সভাপতিত্ব করেন গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পের (ইবিএলআইসিটি) পরিচালক মো. মাহবুব করিম।

চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, ম্রো, তঞ্চংগ্যা, তেলেগু, ঢাকাইয়া উর্দু ও ঠার ভাষার কবি, লেখক, প্রযুক্তিবিদ ছাড়াও সাধারণ ভাষা প্রতিনিধিরা এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, বাংলা ভাষা প্রকল্পের সব উপাদানের মধ্যে এটা আমাদের সবচেয়ে প্রিয়। এর পেছনে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ভালোলাগা আছে। একুশে ফেব্রুয়ারিতে আগে শুধু বাংলা ভাষার কথা বলা হতো, এখন মাতৃভাষার কথা বলা হয়। প্রত্যেকের মাতৃভাষার প্রতি তাই আমাদের দায় আছে। কারও মাতৃভাষার বিলুপ্তি আমাদের কাম্য নয়। এ কারণে শুধু রক্ষা করা নয়, এইসব ভাষাকে বিকশিত করার ব্যবস্থাও নিতে হবে যাতে ভাষাগুলো প্রজন্মান্তরে সুরক্ষিত থাকে।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মাহবুব করিম বলেন, আমাদের প্রকল্প মোট ১৬টি কম্পোনেন্ট নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু এই কম্পোনেন্টগুলো তাদের গভীরতার দিক থেকে প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা প্রকল্পের মতো। প্রতিটির টেকনোলজি বিশালত্বের দিক থেকে এত বড়। প্রতিটি কম্পোনেন্ট নিয়েই আমাদের সাধনা ও সংগ্রাম করতে হয়েছে। এরকম একটি কম্পোনেন্ট বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠী ভাষার ডিজিটাইজেশন।

সভায় আমন্ত্রিত রিসোর্স পারসন হিসেবে নিজ নিজ ভাষা সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বক্তব্য দেন ঢাকাইয়া উর্দু ভাষার কবি ও লেখক সৈয়দ আফজাল হোসেন, উর্দু অনুবাদক ও লেখক জাভেদ হুসেন, দলিত নেতা ও তেলেগু ভাষা প্রতিনিধি ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু এবং বেদে জনগোষ্ঠীর নেতা, কাউন্সিলর ও ঠার ভাষা প্রতিনিধি রমজান আহমেদ। রিসোর্স পারসনদের বক্তব্য শেষে চাকমা, মারমা, ম্রো, তঞ্চংগ্যা ও সান্তালি ভাষার প্রতিনিধিরা, প্রযুক্তিবিদ ও লেখকরা ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের ব্যবহৃত ফন্ট ও কিবোর্ড নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। এ সময় তারা ইন্টারনেটভিত্তিক প্লাটফর্মগুলোতে নিজ ভাষা ও নিজ বর্ণমালায় লিখতে গিয়ে কী কী সমস্যা হয় সেগুলো তুলে ধরেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠী ভাষার ডিজিটাইজেশন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। এরইমধ্যে নির্ধারিত ৪০টি ভাষার মধ্যে ৩৭টি ভাষার নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন আরও ৩টি ভাষার নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে।

/এইচএএইচ/এমএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভাঙ্গায় রাতের অন্ধকারে তিন জনকে কুপিয়ে জখম, একজনের মৃত্যু
ভাঙ্গায় রাতের অন্ধকারে তিন জনকে কুপিয়ে জখম, একজনের মৃত্যু
মানুষ দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও সরকার নীরব: রিজভী
মানুষ দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও সরকার নীরব: রিজভী
৮ নায়িকা নিয়ে মোশাররফ করিমের ‘বোহেমিয়া ঘোড়া’
৮ নায়িকা নিয়ে মোশাররফ করিমের ‘বোহেমিয়া ঘোড়া’
পিএসএলের সব ম্যাচ রাওয়ালপিন্ডিতে করার পরিকল্পনা
পিএসএলের সব ম্যাচ রাওয়ালপিন্ডিতে করার পরিকল্পনা
সর্বাধিক পঠিত
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ