উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নতুন ডিজিটাল ও মোবাইল ইনোভেশনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে প্রথমবারের মত শুরু হলো ‘ব্র্যাক মন্থন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’। ব্র্যাকের উদ্যোগে আর ভারতের ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশনের (ডিইএফ) সহযোগিতায় রবিবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করা হয়। ২০০৪ সালে ভারত এই অ্যাওয়ার্ডটি চালু করে।
ব্র্যাক মন্থন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডে (বিএমডিআইএ)-সর্বমোট নয়টি বিভাগে প্রতিযোগিতা হবে। বিভাগগুলো হচ্ছে -বিজনেস অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশান, লার্নিং অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট, ই-এগ্রিকালচার অ্যান্ড ইকোলজি, ই-গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনস, ই-হেলথ, ই-ওমেন, ইনক্লুশান অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট, ই-নিউজ, জার্নালিজম অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট, ই-কালচার, হেরিটেজ অ্যান্ড টুরিজম এবং এম-কনটেন্ট।
১১ এপ্রিল থেকে ১০ জুন পর্যন্ত এর রেজিস্ট্রেশন চলবে brac.manthanaward.org ওয়েবসাইটে। বিষয়বস্তুর মান, সমাধানের প্রভাব, পণ্য-সেবার কার্যকারিতা এবং পণ্য-সেবা ব্যবহারে মানুষের উপকার পাওয়া-এই চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে জমাকৃত প্রজেক্টগুলোর মূল্যায়ন করবেন প্রযুক্তিক্ষেত্রে অবদান রাখা দক্ষিণ এশিয়ার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা। এ বছরের সেপ্টেম্বরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। বিজয়ীরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরাসরি ভারতের মন্থন অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের সিনিয়র ডিরেক্টর আসিফ সালেহর সঞ্চালনায় এই সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের ডিরেক্টর কে এ এম মোরশেদ, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, প্রথম আলোর উন্নয়ন কর্মসূচির সমন্বয়কারী মুনির হাসান, ডিইএফের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর রবি গুরিয়া এবং ওয়েবেবল-এর পরিচালক অভিক আলম।
আসিফ সালেহ বলেন, ‘মোবাইল এবং ইন্টারনেট মানুষের জীবনে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। নতুন ডিজিটাল সেবাগুলো জীবনের মান উন্নয়নে রাখছে বিশেষ ভূমিকা। যে উদ্ভাবকেরা এই নতুন পরিবর্তনগুলো নিয়ে আসছেন, তাদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই ব্র্যাকের এই পদক্ষেপ।’
রবি গুরিয়া বলেন, ‘প্রতিবার ভারতের মন্থন অ্যাওয়ার্ডে বহু বাংলাদেশি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। আমরা এদেশের মেধাবী তরুণদের জন্য এমন একটি সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে তারা এ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে উদ্ভাবনী ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমরা বাংলাদেশে মন্থন চালু করছি।’
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বিভিন্ন বাংলাদেশি সংস্থা ভারতে এই অ্যাওয়ার্ড জিতে আসছে, যার মধ্যে বিকাশ, মায়া, আমাদের কিশোরগঞ্জ, আমার দেশ আমার গ্রাম উল্লেখযোগ্য।
/এআর/