দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে কাজ করছে ইও বাংলাদেশ। এন্ট্রাপ্রেনারস অর্গানাইজেশনের (ইও) বাংলাদেশ চ্যাপ্টার গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতার জন্য গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্ট্রাপ্রেনার অ্যাওয়ার্ড-(জিএসইএ) ২০২২-২৩ এর বাংলাদেশ পর্ব আয়োজন করতে যাচ্ছে। এবার প্রতিযোগিতার সপ্তম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ীরা দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
এসব তথ্য জানাতে ইও বাংলাদেশ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় জিপি হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইও বাংলাদেশের সভাপতি ফারিয়ান ইউসুফ, জিএসইএ চেয়ার সাদাত অমি, ইও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হোসেইন খালেদ, সাবেক সভাপতি মাইক কাজী, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব পোর্টফোলিও হাসান আরিফ, জিপি একসেলারেটরের হেড অব সোশাল ইমপ্যাক্ট ফারহানা ইসলাম প্রমুখ।
ইও বাংলাদেশ সভাপতি ফারিয়ান ইউসুফ বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। দেশে ব্যবসার পরিবেশে পরিবর্তন আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের হাত ধরে বদলে যাবে অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট।
অনুষ্ঠানে জিএসইএ চেয়ার সাদাত অমি জানান, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে https://gsea.org/GSEA/GSEA/Apply.aspx এই ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর। সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জানুয়ারি। দেশে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ও জিপি একসেলারেটর এ বছর জিএসই’র অফিসিয়াল পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
প্রতিযোগিতার পার্টনার প্রতিষ্ঠান জিপি একসেলারেটরের হেড অব সোশাল ইমপ্যাক্ট ফারহানা ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে ৫ লাখ জব (চাকরি) তৈরি হয়েছে স্টার্টআপ খাতে। জিপি একসেলারেটর থেকে এ পর্যন্ত তিন জনের প্রত্যেকে পাঁচ মিলিয়নের বেশি মূল্যের কোম্পানি তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব পোর্টফোলিও হাসান আরিফ এ ধরনের উদ্যোগে তরুণদের বেশি বেশি সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তরুণরাই ভবিষ্যৎ।
সংবাদ সম্মেলনে ইও বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি মাইক কাজী শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।