শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব এবং স্কুল অব ফিউচারে জাপানি শিক্ষা পদ্ধতি ‘কুমন’ চালুর লক্ষ্যে (আফটার স্কুল প্রোগ্রাম) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর ও ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আইসিটি অধিদফতরের সভাকক্ষে মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল এবং ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, জাপান এক্সট্রারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো, ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের প্রধান নেহাল বিন হাসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাপানি শিক্ষা মেথড কুমন দেশে ছড়িয়ে দিতে এ বছর থেকে আইসিটি বিভাগের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ৬টি স্কুল অব ফিউচারে পাইলট বাস্তবায়ন করা হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচারে পুরোপুরিভাবে এ আনন্দদায়ক এই শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হবে।’ পলক আরও বলেন, ‘শিক্ষার এই পদ্ধতি শিশুদের গণিত ও ইংরেজিভীতি কাটানোর পাশাপাশি প্রতিভা বিকাশে সহায়ক হবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে জাপানি গণিত শিক্ষক ‘তরু কুমন’ সহজে গণিত ও ভাষা শিক্ষার একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা ‘কুমন পদ্ধতি’ নামে পরিচিতি। প্রথমে জাপানে, পরে বিভিন্ন দেশে বিস্তার লাভ করেছে এই পদ্ধতি। বর্তমানে এ পদ্ধতিতে পৃথিবীর ৬০ দেশে ১৪ হাজার ৫০০ স্কুলে কুমন শিক্ষাপদ্ধতি চালু আছে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী আইসিটি বিভাগের আইডিয়া ফ্লোরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপ-টেক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও আমব্র সিস্টেমের চেয়ারম্যান সাইফ আল আলেলিসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তারা ডিপ-টেকে বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, ফাইনান্সিয়াল ডাটা সেন্টার, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যৌথ কোলাবরেশনে কাজ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।