৪১ জন নারীকে ‘স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা’ অনুদান দিলো আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প। দেশের সম্ভাবনাময় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ‘স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা’ অনুদানের চেক প্রদান বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান সোমবার (১০ এপ্রিল) ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন— সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ এবং শামসুন নাহার, আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘জনশুমারি অনুযায়ী, দেশে নারীদের সংখ্যা বেশি। এই সংখ্যা নিয়ে মানবিকভাবে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, ‘নারীরা সহজাতভাবেই উদ্যোক্তা।’ তথ্যপ্রযুক্তি সর্বাত্মক ব্যবহার করে নিজেদের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে ব্যবসায় প্রসার বাড়াতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
স্পিকার বলেন, ‘আইসিটি ক্ষেত্রেও আমরা পিছিয়ে থাকবো না।’ তিনি সম্ভাবনাময় নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করে বলেন, ‘আমরা যে পারি সেটার প্রমাণ আমরা দিয়েছি এবং আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। নারীরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। নারীর ক্ষমতায়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।’
তথ্য প্রযুক্তির বিকল্প নেই উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তিতে নারীদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে এবং ধাপ থেকে ধাপে উন্নয়ন হচ্ছে।’
নিজের জীবনে মা ও স্ত্রীর ভূমিকা তুলে ধরে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কোনও কাজই ক্ষুদ্র নয়।’ তিনি নারীদের অনুপ্রাণিত করে বলেন, ‘আপনাদের মাঝে লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের বড় উদ্যোক্তা। সরকার নিজে ব্যবসা করবে না, সরকার পরিবেশ তৈরি করবে।’ তিনি উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা ও পুঁজির গুরুত্ব উল্লেখ করে ব্যবসার জন্যে উপযুক্ত পরিবেশ দরকার বলে মন্তব্য করেন।
একজন উদ্যোক্তার কী কী গুণ থাকা দরকার তা তুলে ধরে পলক বলেন, ‘এই অনুদান এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। প্রথম দফায় ২ হাজার নারী উদ্যোক্তার জন্য অনুদান প্রক্রিয়া চলমান থাকার পর আরও ৫ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ৪১ জন নারী উদ্যোক্তার প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে এককালীন অনুদান প্রদান করা হয়। উদ্যোক্তাদের কল্যাণে এবং তাদের ব্যবসায় উন্নয়নের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউএনডিপি-এর আনন্দ মেলা, সর্বজয়া নারী উদ্যোক্তা উৎপাদনমুখী সমবায় সমিতি লি., সমাজ, গ্রাম ও শহর উন্নয়ন মহিলা সংস্থা, বাংলাদেশ উদ্যোক্তা সংস্থা (বাউস), ওমেনস্ অ্যালায়েন্স, নিজের বলার মতো গল্প এবং নারী উদ্যোক্তা ফোরামসহ ৭টি সংসদীয় আসন এলাকার সম্ভাবনাময় নারী উদ্যোক্তাদের অনুদান প্রদান করে আইডিয়া প্রকল্প।