সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তির দৌঁড়।যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে যেয়ে হরহামেশাই বিষম খেতে হয় অনেককে।এবার জীবনে চ্যালেঞ্জ নেওয়া নেওয়া প্রযুক্তি সন্ধানি থেকে শুরু করে বিজ্ঞান মনস্কাদের জন্য আর্ন্তজাতিক মানের অভাবনীয় এক সুযোগ এনে দিয়েছে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ এডওয়ার্ড এম. কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার।
ইএমকে সেন্টারে সম্প্রতি কার্যক্রম শুরু হলো দেশের প্রথম সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ল্যাবরেটরি ‘মেকার ল্যাব’-এর।এই ল্যাবের প্রধান বিশেষত্ব হচ্ছে, এখানে একই ছাদের নিচে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির থ্রি-ডি প্রিন্টার, রোবট তৈরির সরঞ্জাম,টেলিভিশনের প্রডাকশনের সরঞ্জাম থেকে শুরু করে অডিও/ভিজ্যুয়াল সম্পাদনার সফটয়্যারসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে। ফলে ল্যাব ব্যবহারকারীরা পাবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবহারের সুবিধা। যার মাধ্যমে ল্যাবটির ব্যবহারকারীর উচ্চ-প্রযুক্তি, সমমনা সৃজনশীল পরিবেশ,ব্যবসায়িক যোগাযোগ এবং মেন্টরস। ইএমকে মেকার ল্যাব একই সঙ্গে তরুণদের অনুপ্রাণীত করবে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণের সম্ভাবনা, ইংরেজিতে দক্ষতা বৃদ্ধি, কলা এবং ডিজাইন থেকে শুরু করে সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের উৎকর্ষ সাধনে।
শনিবার ইএমকে সেন্টারে মেকার ল্যাবের উদ্বোধন করেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন, ডেভিড মেল। মূলত, তরুণ বিজ্ঞানমনস্কদের গবেষণা কার্যক্রম ত্বড়ান্বিত করতেই এ উদ্যোগ।
এ বিষয়ে ডেভিড বলেন, ‘সময় এখন শুধু তথ্য আদান প্রদান নয়, বরং প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে আরো সৃষ্টিশীল করে তোলা’।
এ সময় বিশ্বের আলোচিক উদ্যোক্তা গেরি হুয়াইটহিল বলেন,‘এই জায়গাটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে , এখানে সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে অনেক নতুন জিনিস সৃষ্টি করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার কেলভিন হায়েস বলেন, বিভিন্ন সময় অনেক আইডিয়া নিয়ে আসা যায়, কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন করা কঠিন। মেকারল্যাব এমন একটি জায়গা হবে যেখানে বাংলাদেশের তরুণরা তাদের ভাবনাগুলোর বাস্তব রূপ দিতে পারবে’।
উল্লেখ্য,ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে অবস্থিত ইএমকে সেন্টারে সদস্যরা ল্যাবটি ব্যবহার করতে পারবেন।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন www.emkcenter.org
/এআই /এফএএন/