বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যেই দারিদ্র্য দূরীকরণে সাফল্য অর্জন করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের মিলেনিয়াম হিলটন হোটেলে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়নের অভিমুখে: সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা থেকে শিক্ষা এবং এসডিজির পথনির্দেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এমডিজি গ্রহণ করার আগেই ১৯৯৯ সালে এর বাস্তবায়ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং নিজেদের মতো করে লক্ষ্য স্থির করা হয়। দেশের নিজস্ব সম্পদ এবং যা কিছু উন্নয়ন সহযোগিতা পাওয়া যায় তা দিয়েই এমডিজি বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রবল ইচ্ছাশক্তির ফলে ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এমডিজির অধিকাংশ লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়।’
আন্তর্জাতিক থিঙ্ক ট্যাংক ‘দ্য ইনস্টিটিউট ফর পলিসি, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গভার্নেন্স (আইপিএজি) এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
সেমিনারে অর্থমন্ত্রী এমডিজি বাস্তবায়নের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কিভাবে এসডিজি অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘এসডিজি খুবই আলাদা। বাংলাদেশের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে, ফলে লক্ষ্য নির্দিষ্ট করা এখন খুব সহজ। বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিশ্রুতি ও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি। এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।’
সেমিনারে ইউএনডিপি’র ব্যুরো অব পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রাম সাপোর্টের সহকারী প্রশাসক ও পরিচালক এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মাগদি মার্টিজে সলিমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সামগ্রিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি নিরবচ্ছিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে পেরেছে। ফলে দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ছয় ভাগের ওপরে রয়েছে। মানবসম্পদের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাবলিক সেক্টরে জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসকল পদক্ষেপের ফলে ১৯৯১ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ৫৬ শতাংশ ছিল তা উল্লেখযোগ্য হারে কমে ২০১০ সালে ৩১ শতাংশে এসে দাঁড়ায়।’
এ সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন ২০২১’-এর সাফল্য, ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে আইসিটি ব্যবহার করে নারী ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ ডেলিগেশনের মধ্যে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব সামসুল আলম, অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম।
সূত্র: বাসস
আরও পড়ুন:
সিভিল এভিয়েশন ভেঙে হচ্ছে দু’টি সংস্থা
কাজ শুরুর আগেই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি: সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ