X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন জনযুদ্ধ: বাঙালি যখন বাঙালির প্রধান শত্রু

মাসুদা ভাট্টি
১২ জুলাই ২০১৬, ১৯:৫৪আপডেট : ১২ জুলাই ২০১৬, ২০:০৯

মাসুদা ভাট্টি গত ১ জুলাই ঘটে যাওয়া গুলশান-কাণ্ডের পর বাংলাদেশ একটি নতুন পথে হাঁটছে - এমন মন্তব্য প্রায়ই শুনতে পাচ্ছি চারদিকে। সত্যিই কি এদিন থেকে বাংলাদেশের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে নাকি বাংলাদেশ আসলে উল্টো পথে হাঁটছিল ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের পর থেকেই? এমনকি এই দিনটির পর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গড়া রাজনৈতিক দলটিও কি আর আগের অবস্থানে অনড় থাকতে পেরেছে? পারেনি, দলটিও ক্রমাগত উল্টো-পায়ে হাঁটতে শুরু করেছে। এসব প্রশ্ন নিয়ে গবেষণা হওয়া জরুরি বলে আমি মনে করি। কিন্তু আজকে গুলশান-কাণ্ডের ১১ দিন পর এই গবেষণা বিষয়ে কিছু বলবো না, বরং তুলে ধরতে চাই সামনের দিনগুলো নিয়ে আমার চিন্তা-ভাবনা।
বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের অনেকেরই আশঙ্কা ছিল যে, এক সময় এই দেশটি একটি সম্পূর্ণ ধর্মভিত্তিক পরিচয় (আইডেনটিটি) নিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং সেটা হবে রক্তক্ষয়ী এক জনযুদ্ধ, যা একাত্তরের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে, কারণ এতে বাঙালিই বাঙালির প্রধান শত্রুপক্ষ হবে। এই আশঙ্কার কথা আমি নিজেই গত ১০ বছর যাবৎ বলেছি বিভিন্ন লেখায় ও বক্তৃতায়। এর কারণ হিসেবে আমি বলতে চেয়েছি যে, বাঙালি মুসলমানের ইতিহাস ব্যাপক মিথ্যে ও ভুলে ঠাসা। বিশেষ করে আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে বাঙালি মুসলমান যখন থেকে তার ‘হিন্দু-অতীত’কে অস্বীকার করে ইরান-তুরান থেকে নিজেদের ‘হিজরত’-এর দাবি করা শুরু করেছে সেদিন থেকেই একটি কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বাঙালি মুসলমান নিজেদের বাঙালিত্বকে অস্বীকার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রবলভাবে। বাঙালিত্বকে বাদ দিয়ে কেবল মুসলমান হওয়ার এই নিরন্তর চেষ্টা কখনই শুভ হতে পারে না এবং সেটা হয়ওনি। এমনকি প্রবাসে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী বাঙালি মুসলমান-এর দ্বিতীয় প্রজন্ম নিজেদের বাঙালি পরিচয়কে অস্বীকার করে কেবল ব্রিটিশ, আমেরিকান বা অন্য যে কোনও জাতীয়তার পরিচয়ে পরিচিত করার চেয়ে পাকিস্তানি ও আরবদের সঙ্গে মিশবার জন্য কেবলমাত্র মুসলিম পরিচয়টিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবং অনেক সময় এ জন্য তাদেরকে পাকিস্তানি ও আরবদের কাছে নিগৃহীতও হতে হচ্ছে কারণ এরা কেউই বাঙালি মুসলমানকে ‘প্রকৃত মুসলমানের’ মর্যাদা দিতে নারাজ। কিন্তু প্রবাসী বাঙালি মুসলমান আরব ও পাকিস্তানিদের এই নিগ্রহ সহ্য করে হলেও বৃহত্তর ‘মুসলিম জাতীয়তাবাদের’ কাছে আশ্রয়প্রার্থী হয়েছে। এর বহুবিধ কারণ থাকতে পারে, সেগুলোর উল্লেখ আজকের লেখায় আনার প্রয়োজন নেই কিন্তু একথা জোর দিয়েই বলতে হবে যে, বাঙালি মুসলমান নিজেদের এই লেজ খসানোর চেষ্টা যতোদিন অব্যাহত রাখবে ততোদিন বাংলাদেশ আসলে কোনও ধরনের অগ্রগতির ধার না ধেরে ধর্মভিত্তিক পরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য রক্তপাতকেই একমাত্র পথ হিসেবে গণ্য করে এগুতে থাকবে, যা গুলশান-কাণ্ডেও প্রমাণিত হয়েছে।
আরও একটু বিস্তারিত যদি বলতে হয় তাহলে একথা জোর দিয়েই বলতে হবে যে, পাকিস্তানের নিগড় থেকে বাঙালি মুসলমান কোনওদিনই বেরুতে পারতো না, যদি না সে সময় দেশের বৃহত্তর বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় হিন্দু বাঙালির অংশগ্রহণ না থাকতো। ধরা যাক, ১৯৫২ সালে যদি বাঙালি হিন্দু দেশের জনসংখ্যার ১৫ শতাংশও হয়ে থাকে তাহলে এই ১৫ শতাংশের সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতাকামী ৫০ শতাংশ (এটা যথার্থ সংখ্যা নয়, আমি কেবল আলোচনার স্বার্থে ধরে নিচ্ছি) যোগ হয়ে সংখ্যাটি ৬৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল, যে কারণে স্বাধীনতা-বিরোধীরা আসলে ১৯৭১ সালে এসে একেবারেই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল এবং তাদের পরাজিত করা অপেক্ষাকৃত সহজতর হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর থেকে এই সত্য বদলাতে শুরু করেছিল বলে পাকিস্তান আমলে যে বাঙালি হিন্দুদের তাদের ‘বাপের দেশে’ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা নতুন মাত্রা লাভ করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশে।

বাঙালি মুসলমান তার জন্মেরও আগের স্থায়ী বাসিন্দা বাঙালি হিন্দুকে যখন থেকে উৎখাত শুরু করেছে সেদিন থেকে এই ভয়টিও দানা বেঁধেছে যে, একদিন যখন আর উৎখাতের মতো হিন্দু কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বীরা এদেশে থাকবে না তখন বাঙালি মুসলমান কী করবে? এর উত্তরে আমাদের অনেকেই একথা বলেছি যে, কেন পাকিস্তান কী করেছে? পাকিস্তানে প্রথমে তার বৌদ্ধ অস্তিত্ব মুছে ফেলেছে, তারপর হিন্দু পরিচয় এবং সর্বশেষে সংখ্যালঘু শিয়াদের দমন করেছে, এখন নিজেদের মধ্যেই কামড়াকামড়ি করে কে সহি আর কে সহি নয়, সে হিসেব করার জন্য বোমা, চাপাতি নিয়ে মাঠে নেমেছে। বাঙালি মুসলমানও তার পাকিস্তানি ভাইয়ের এই আত্মঘাতী প্রবণতা থেকে বেরিয়ে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রকামী জাতি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে বিশ্বমাঝে, এমনটি ভাববার মতো কোনও কারণ আদৌ ঘটেছে কি? আমাকে অনেকেই হয়তো নেতিবাচক বিশ্লেষক হিসেবে গালি দিতে পারেন, কিংবা উড়িয়ে দিতে পারেন আমার এই বিশ্লেষণ কিন্তু তাতে সত্যটা কি বদলাবে? বুকে হাত রেখে বলতে পারেন যে, আপনার ভেতর সেই মানুষটি নেই, যে মানুষটি আসলে বাংলাদেশকে ‘কেবলমাত্র মুসলমানের দেশ’ হিসেবে দেখতে আগ্রহী নয়? হ্যাঁ, হয়তো এই লেখারই পাঠক সকলে এরকমটি চান না কিন্তু বিগত দশকে তাদের সংখ্যা কেবলই লঘু থেকে লঘুতর হয়েছে। আর এখনতো চাপাতির ভয়, বোমা হামলার ভয়, গুলি খেয়ে মরার ভয়, সুরা না জানার ভয় ইত্যাদি বহুবিধ ভয়ে আক্রান্ত হয়ে এই না-চাওয়ার দলে যারা আছেন অর্থাৎ যারা চান বাংলাদেশ একটি বহুত্ববাদী রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকুক, তারা এমনই ম্রিয়মান হয়ে গেছেন যে, তাদের আলোচনাকে কেউ আর ধর্তব্যেই আনছেন না। এমনকি এই সেদিনও বাংলা অন্তর্জালে নিরন্তুর সাইবার যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া একদল তরুণ যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারের পক্ষ নেওয়াদের ‘কাঁঠাল পাতা চিবোনো ছাগু’ আখ্যা দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারপর্বটি সমাধায় বর্তমান সরকারকে যারপর নাই সহায়তা করেছে তাদেরকে উল্টো এখন ‘সেক্যুলাঙ্গার’ বা ‘চেতনাবাজ’ ইত্যাদি নোংরা আক্রমণের স্বীকার হতে হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, এর পরবর্তী কোনও সরকারের আমলে হয়তো এই স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার চাওয়াদেরই বিচার হবে এদেশে, এমনকি শেখ হাসিনাকেও হয়তো এজন্য বিচারের মুখোমুখি করা হবে, কে জানে!

যে কোনও দেশেই জঙ্গিবাদ বা নেতিবাচক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না বা বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না যদি না সে দেশে এর পক্ষে দাঁড়ানোর মতো মানুষ থাকে। বাংলাদেশের দিকে একবার লক্ষ্য করুন, এদেশে সত্যিই কি এই ভয়ঙ্কর জঙ্গিবাদকে সমর্থন দেওয়ার মতো মানুষ নেই? নাকি আপনার পাশেই দণ্ডায়মান যে মানুষটি তিনিই এদেরকে প্রকাশ্যেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন? বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিসরেই দেখুন একবার? এদেশে জঙ্গিবাদের আমদানিকারক হিসেবে দেখতে পাই জিয়াউর রহমানকে, যিনি কেবল পাকিস্তান থেকে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীকে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্র ক্ষমতার ভাগই দেননি, তিনি কেবল রাষ্ট্রের মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাদই দেননি, তিনি রোহিঙ্গা মুসলিমদের সহায়তার জন্য কেবলমাত্র মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ধর্মীয় এনজিওগুলোকেই কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং তারা বছরের পর বছর ধরে এদেশে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে ধর্মভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক করেছে এবং সেখানে জঙ্গি উৎপাদনেও বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।

জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলটি এখন আর সেই অর্থে নেই কিন্তু তার দল যে দলটির জঠরে বিলীন হয়ে গেছে সেই দলটি এদেশের সবচেয়ে বড় জঙ্গি সংগঠন, যারা এদেশে রগ কাটার রাজনীতি করেছে, ব্রাশ ফায়ারে রাজনৈতিক শত্রু খতম করেছে। এখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এদেশকে একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এরাই সবচেয়ে বড় ভূমিকাটি রাখছে। এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বা তার রাজনৈতিক দল যতোই চেষ্টা করুক না কেন, গুলশান-কাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটতেই থাকবে কারণ দেশের রাজনীতির একটি বড় অংশের পৃষ্ঠপোষকতা এই জঙ্গিরা আগেও পেয়েছে এখনও পাচ্ছে। এমনকি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দলটির ভেতরেও যে এই জঙ্গিদের সমর্থনকারী অর্থাৎ ধর্মাশ্রয়ী উগ্রবাদী চিন্তাধারার সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে তাওতো গণমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পারছি। আর আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীদের ‘হিন্দু খেদানোয়’ অগ্রগামী ভূমিকা রাখার কথা না হয় নাই-ই বা বললাম। এর সঙ্গে যদি জঙ্গিরা ‘ভাত মেখে খেতে পারে না’, ‘তেলাপোকা দেখে ভয় পেতো’, ‘কী কিউট ছেলেটা’ কিংবা ‘জঙ্গিরা সেহরি খেতে দিয়েছিল’ বলে মায়াকান্নাকারী সুডো-বাঙালি ধর্মবাজদের যোগ করা যায় তাহলে জঙ্গিপন্থীদের সংখ্যাটা কেমন দাঁড়ায় বাংলাদেশে? একবার চোখ বন্ধ করে হিসেব করে দেখুন তো? মজার ব্যাপার হলো, আজকে যারা আমরা এই জঙ্গি হামলার নিন্দা জানাচ্ছি তারাও কেবল একটি বাক্য দিয়ে আমাদের দায়-দায়িত্ব সেরে ফেলার চেষ্টা করছি। বাক্যটা হলো ‘জঙ্গিরা সত্যিকারের মুসলমান নয়’। এই বাক্য যে কেবলই শান্তনার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তার মানে কী দাঁড়ালো? মানে এরকমটাই দাঁড়ালো যে, যেমনটি ১৫ বছর আগেও লিখেছিলাম যে, বাংলাদেশ একটি ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে যাচ্ছে, তেমনই হয়তো আরও ১০ বছর পর আমাকে লিখতে হবে যে, বাংলাদেশ পাকিস্তানের পরিণতি বরণ করেছে। ১৫ বছর আগেও অনেকে বলেছেন যে, বাঙালির একটি শক্তিশালী লোকসংস্কৃতি রয়েছে, তাকে কোনওভাবেই ধর্ম টপকে যেতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবতা যে ভিন্ন সে কথাতো নতুন করে আর বলার প্রয়োজন নেই, তাই না? ১০ বছর পরেও হয়তো কেউ একই কথা বলবেন, কিন্তু ততোদিনে নতুন এক ধর্মভিত্তিক সংস্কৃতি বাংলাদেশে তার শেকড় ছড়িয়ে দেবে, যার আলামত আমরা দেখছি দেশে ক্রমাগত এক ভিন্ন সংস্কৃতির প্রসার, বিস্তার ও প্রমোসন্স থেকে।

কিন্তু এর বাইরে কি এখনও কেউ নেই যে বা যারা বাংলাদেশকে এখনও একটি অসাম্প্রদায়িক, বহুত্ববাদী, গণতান্ত্রিক উদার রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান? কেন থাকবে না, অবশ্যই আছে। তারা ম্রিয়মান হতে পারেন, ভয় পেয়ে যেতে পারেন কিন্তু কেউ একজন শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে দাঁড়ালেই তার পেছনে এই পক্ষটি সমবেত হতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না, এও সত্য। এই মুহূর্তে সে কারণেই এই পক্ষটি শেখ হাসিনাকে শক্তিশালী দেখতে চান। তার দলকে শক্তিশালী দেখতে চান। তার সরকারকে শক্তিশালী দেখতে চান। কারণ এর বাইরে তাদেরতো বিকল্প কোনও অপশন নেই, যাদের দিয়ে এই ভয়ঙ্কর বিরুদ্ধ-শক্তিকে দমানো সম্ভব হবে, তাই না? একথা দিনের আলোর মতোই সত্য যে, যে যুদ্ধের মধ্যে আমরা আজকে রয়েছি তা ১৯৭১-এর চেয়ে কম ভয়ঙ্কর নয়, নয় ৭১-এর চেয়ে কম বিপজ্জনকও। আরও বড় সত্য হলো, ১৯৭১ সালে যেমন এই যুদ্ধ কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একার ছিল না, ছিল আপামর বাঙালির তেমনই এখনকার যুদ্ধটিও কেবলমাত্র শেখ হাসিনা, তার দল বা সরকারের একার নয়, এ যুদ্ধ আমার আপনার সবার, সকলের।

৭১-এ যেমন ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা’ করেছেন, এই নতুন জনযুদ্ধেও যে যেখানে যে অবস্থায় আছেন, সেখান থেকেই শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, না হলে যে বহুত্ববাদী, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক উদার বাংলাদেশের কথা বলেছি তাকে আমর চিরতরে হারাবো, তাতে কোনই সন্দেহ নেই; ইতোমধ্যেই, এই যুদ্ধে আমরা অনেকখানিই হেরে বসে আছি।

লেখক: কলামিস্ট

আরও পড়তে পারেন: গুলশান জঙ্গি হামলা: অনেক প্রশ্ন

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘হিট ইমারজেন্সি’ জারির আহ্বান সাইফুল হকের
‘হিট ইমারজেন্সি’ জারির আহ্বান সাইফুল হকের
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
শনিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
শনিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ