বরিশাল নগরীর চকবাজার এলাকায় জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জোহরের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
মুসল্লিরা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে মুসল্লিরা জোহরের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন মসজিদের দোতলার একটি এসি চালু করতে মুয়াজ্জিন বৈদ্যুতিক সুইচ চালু করেন। স্পার্ক করলে তিনি সুইচ বন্ধ করে দেন। এরপর সবাই নামাজে দাঁড়ালে কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট শব্দ হয়। ইমামের কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় এবং এসির কাছাকাছি আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। কোনও ক্ষতি হয়নি।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল আলম ও স্থানীয় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির লিংকু জানিয়েছেন, মসজিদের দোতলায় ইমামের কক্ষের এসি বিস্ফোরণ হয়। এতে আগুন ধরে যায়। মুসল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ালেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মুসল্লিরা নামাজ ছেড়ে নিচে নেমে আসেন। ঘটনার পরপরই মসজিদের বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিস্ফোরণে এসি ছাড়া আর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সবকিছু স্বাভাবিক আছে। মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায়ে কোনও অসুবিধা নেই। বড় কোনও ক্ষতি হয়নি।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমীন বলেন, মসজিদের দোতলায় ইমামের থাকার কক্ষে এসি বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে আমাদের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হচ্ছে বেশি সময় চলায় গরম হয়ে এসির কম্প্রেসার বিস্ফোরণ হয়েছে। নতুবা এসিটি ত্রুটিপূর্ণও থাকতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর মূল কারণ জানা যাবে।
বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার নাফিসুর রহমান বলেন, জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছি আমরা। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। মসজিদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।