অনুমোদনহীন অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক করে রাখার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকী একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। মানবাধিকার রক্ষার যুক্তিতে তার উপস্থাপিত বিলে সমর্থন দিয়েছেন ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরাও।
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনের এমপি টিউলিপ বলেছেন, ‘আপনি যে-ই হন আর যেখান থেকেই আসুন না কেন, আত্মমর্যাদার সঙ্গে বাঁচার ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আপনার আছে। এটা আমদের জন্য লজ্জার বিষয় যে যুক্তরাজ্য ইউরোপের একমাত্র দেশ যারা অনির্দিষ্টকালের জন্য অভিবাসীদের আটক করে রাখে।’
অনুমোদন নেই এমন অভিবাসীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখার সুযোগ রহিত করে তাদের আটকাদেশের মেয়াদ সর্বোচ্চ ২৮ দিন করার প্রস্তাব করেছেন টিউলিপ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের প্রস্তাবে সমর্থ দিয়েছেন সাবেক ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস এবং ডোমিনিক গ্রিভ।
টিউলিপের প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত পাস হয়ে আইনে পরিণত হতে হয়তো পারবে না। কিন্তু তার এই প্রচেষ্টা ব্রিটিশ সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। অভিবাসীদের সুরক্ষায় কাজ করা সংসদ সদস্যরা মনে করেন, এই চাপের কারণে অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যক্তিদের আটকে রাখা হয় যেসব কেন্দ্রে সেসব ‘ইমিগ্রেশন সেন্টারের’ পরিচালনা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হবে সরকার।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদও বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যের আটকাদেশের বিধান এমন হওয়া উচিত নয়, যার লক্ষ্য অবৈধ অভিবাসী ঠেকানো। বরং তার হওয়া উচিত মানবিক।’ ভবিষ্যতে অভিবাসন সংক্রান্ত আইনে ২৮ দিনের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার বিষয়টি যাতে সাজিদ জাভিদ বাস্তবায়ন করেন তার দাবি জানিয়ে একটি অনলাইন আবেদনও খোলা হয়েছে। আবেদনের ভাষ্য, ‘অনির্দিষ্টকালের আটকাদেশ একটি অকার্যকর প্রক্রিয়া, যাতে শত শত কোটি পাউন্ড খরচ হয় এবং জীবন হয় ধ্বংস।’ এই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।