আমেরিকার হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ওদিকে বেশি চাহিদার ফ্লাইট রুটের দিক দিয়ে এশিয়া এগিয়ে। তবে বিশ্বসেরা সংযোগ স্থাপনের বেলায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরই রাজা! ২০১৮ সালে বৈশ্বিক এভিয়েশনের সবচেয়ে ব্যস্ত দিনে সেখানে ছয় ঘণ্টায় ৬৬ হাজার ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়নের রেকর্ড গড়েছে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিমান ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য সংস্থা ওএজি নতুন প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
আমেরিকার শিকাগো ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে তালিকার দুই নম্বরে। তিন ও চার নম্বর স্থান পেয়েছে ইউরোপের দুই বিমানবন্দর ফ্রাঙ্কফুট ও আমস্টারডাম। এশিয়ায় সংযোগ স্থাপনে সেরা হয়েছে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর। সারাবিশ্ব মিলিয়ে এর অবস্থান অষ্টম। ফ্রান্সের চার্লস দো গল বিমানবন্দর ৯ নম্বরে ও জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দর আছে ১১ নম্বরে।
উত্তর আমেরিকায় সংযোগ স্থাপনে দ্বিতীয় হয়েছে টরন্টো বিমানবন্দর। এর অবস্থান পঞ্চম। এছাড়া লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ষষ্ঠ ও হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়েছে সপ্তম।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুকার্নো-হাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১০ নম্বরে, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১২ নম্বরে, হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১৩ নম্বর ও সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর আছে ১৪ নম্বরে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে ১৫ নম্বরে।
ওএজি’র মেগাহাবস ইন্টারন্যাশনাল ইনডেক্স ২০১৮ অনুযায়ী, শীর্ষ ৫০টি বিমানবন্দরে একটি করে এয়ারলাইনের ৪০ শতাংশ কিংবা তারও বেশি ফ্লাইট রয়েছে। যেমন, লন্ডনের হিথ্রোতে ৫২ শতাংশ ফ্লাইটই পরিচালনা করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। এই বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা বছরে ৮ কোটি থেকে বেড়ে ২০৩০ সালের মধ্যে দাঁড়াবে ১১ কোটিতে।
শিকাগো ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারলাইনস (৪৮ শতাংশ), ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে লুফথানসা (৬৩ শতাংশ), আমস্টারডাম বিমানবন্দর স্কিফুলে কেএলএম (৫১ শতাংশ), টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার কানাডা (৬০ শতাংশ), লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমেরিকান এয়ারলাইনস (২১ শতাংশ), হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডেলটা এয়ারলাইনস (৭৯ শতাংশ), সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস (২৩ শতাংশ), চার্লস দো গল বিমানবন্দরে এয়ার ফ্রান্স (৫১ শতাংশ), সুকার্নো-হাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গারুদা ইন্দোনেশিয়া (২৮ শতাংশ), মিউনিখ বিমানবন্দরে লুফথানসা (৫৯ শতাংশ), কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারএশিয়া (৪০ শতাংশ), হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ (২৬ শতাংশ), সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল (২১ শতাংশ) ও ইনচিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান আকাশসেবা সংস্থা কোরিয়ান এয়ার (২১ শতাংশ)।
সংযোগে বিশ্বসেরা ১৫ বিমানবন্দর
১. হিথ্রো বিমানবন্দর, যুক্তরাজ্য
২. শিকাগো ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যুক্তরাষ্ট্র
৩. ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর, জার্মানি
৪. আমস্টারডাম বিমানবন্দর স্কিফুল, নেদারল্যান্ডস
৫. টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কানাডা
৬. লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যুক্তরাষ্ট্র
৭. হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যুক্তরাষ্ট্র
৮. সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর, সিঙ্গাপুর
৯. চার্লস দো গল বিমানবন্দর, ফ্রান্স
১০. সুকার্নো-হাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইন্দোনেশিয়া
১১. মিউনিখ বিমানবন্দর, জার্মানি
১২. কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মালয়েশিয়া
১৩. হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হংকং
১৪. সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর, ব্যাংকক
১৫. ইনচিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দক্ষিণ কোরিয়া
সূত্র: সিএনএন