নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘জলদস্যুদের ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্ধারকারী জাহাজ ছিল তাদের থেকে দুই নটিকেল মাইল দূরে। একটা বহুমাত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। বহুমাত্রিক চাপের কারণে জলদস্যুরা নাবিকদের ছাড়তে বাধ্য হয়। আর কিছুদিন গেলে কী পরিণতি হতো, সেটা বুঝতে পেরেই জলদস্যুরা নাবিকদের ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।’
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক এখন মুক্ত। নাবিকরা দুবাই পৌঁছাবের ১৯ এপ্রিল। জাহাজসহ নাবিকদের উদ্ধারে মালিকরা খুব ভালো ভূমিকা রেখেছে। তারা নতুন নাবিক দল রেডি করছে।’
আমর্স গার্ড থাকলে এমভি আবদুল্লাহ ঝামেলায় পড়তো না উল্লেখ করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওই জাহাজে আমর্স গার্ড না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। জাহাজে আমর্স গাড আছে কি না, এ বিষয়ে জানতে জলদস্যুদের সোর্স থাকতে পারে। সেই তথ্য নিয়েই জাহাজ আটক করে তারা। ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই জাহাজে আমর্স গাড ছিল।
সদরঘাটে ঈদের দিনে পাঁচ জন নিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা দোষী, তাদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুরে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। এ সময় শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে নেয় সোমালিয়ান দস্যুরা। ওই দিন বিকালে জাহাজটি সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। জাহাজে লক্ষ্মীপুরের আইয়ুব খানসহ মোট ২৩ জন নাবিক রয়েছেন।
আরও পড়ুন...
মুক্তির পর উচ্ছ্বসিত এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা
মুক্তির খবরের অপেক্ষায় ছিলাম: এমভি আবদুল্লাহর নাবিকের মা
‘যাওয়ার আগে দস্যুদের প্রধান জাহাজের ক্যাপ্টেনের হাতে একটি চিঠি দেয়’