রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার সময় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় রিমান্ড শেষে তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন–মো. রাজু, শাওন ও শাহাদাৎ হোসেন।
শনিবার (৮ এপ্রিল) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার তাদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে, একই অভিযোগে ফায়ার সার্ভিসের করা একটি মামলায় শুক্রবার তিন ব্যবসায়ীর একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া শুক্রবার পুলিশের দায়ের করা মামলায় আল আমিন ও জাহাঙ্গীর নামে দুই জনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। সবমিলিয়ে দুই মামলায় এখন পর্যন্ত আট জনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। অপরদিকে বেলায়েত ও জসিম নামে বঙ্গবাজার মার্কেট কমিটির দুই সদস্যের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইস্রাফিল হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে আগুন নেভানোর জন্য বংশাল থানার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরসহ অন্যান্য ফায়ার সার্ভিসের অনেকগুলো ইউনিট কাজ করে। এক পর্যায়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে লাগা আগুন আশপাশের মার্কেটসহ বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এনেক্সকো ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এমন ছিল যে, অনেক প্রচেষ্টার পরও ফায়ার সার্ভিস পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না।
এ সময় অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জন দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্ত্রসহ বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটের বিপরীত পাশে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে হঠাৎ করেই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তারা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেন।
বাদী ও তার সহযোগিরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে দৃষ্কৃতকারীদের প্রতিহতের চেষ্টা করলে একপর্যায়ে অজ্ঞাত আসামিরা তাদের সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তারা লোহার রড ও লাটিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে বাদী গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলে থাকা এসআই (নিরস্ত্র) মো. রুবেল খানও জখম হন।