X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গি রাশেদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষেই গুলশান হামলার চার্জশিট: মনিরুল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ জুলাই ২০১৭, ১৩:২৭আপডেট : ২৯ জুলাই ২০১৭, ১৫:২৮

জঙ্গি মো. আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশ ওরফে আবু হাররাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষেই গুলশান জঙ্গি হামলার চার্জশিট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে, বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে তিনি এই তথ্য জানান।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে জঙ্গি রাশেদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গুলশান হামলার সঙ্গে জড়িত দুই জঙ্গির স্বীকারোক্তিতে রাশেদের নাম এসেছে। এছাড়াও মামলার অন্যতম সাক্ষী তাহরীম কাদেরীর স্বীকারোক্তিতেও তার নাম পাওয়া গেছে। তাই আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাশেদ যদি আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চায় দেবে। তা না হলে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যা পাবো, তা দিয়ে চার্জশিট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবো।’

জঙ্গি খালেদের মাধ্যমে রাশেদ নব্য জেএমবিতে জড়িয়ে পড়ে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল জানান, সংগঠনের প্রতি র‌্যাশের ডেডিকেশন দেখে তামিম চৌধুরী তাকে কাছাকাছি রাখে। নব্য জেএমবিতে অল্প সময়ের মধ্যে সে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠে। পরে রাশেদ নব্য জেএমবিকে পুনরায় সংগঠিত করার চেষ্টা করেছিল। কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, জঙ্গি শামীম ওয়াসি ও রোহান ইমতিয়াজ যখন হিজরত করে তখন তাদেরকে মিরপুরের আস্তানায় পৌঁছে দেয় এই র‌্যাশ। সে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণও দিতো। জঙ্গি রোহানকে সে গ্রেনেড নিক্ষেপের প্রশিক্ষণ দেয়। তখন ইমতিয়াজের পায়ে একটা স্প্রিন্টার লেগেছিলো, তার চিকিৎসারও ব্যবস্থা করে রাশেদ।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গুলশান হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এনে কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় রাখে রাশেদ। সেখান থেকে জঙ্গি বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট অস্ত্রগুলো বসুন্ধরায় নিয়ে যায়। এছাড়া রাশেদ আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানা ভাড়া নিয়েছিল। আর বসুন্ধরার জঙ্গি আস্তানার আসবাবপত্র শেওড়াপাড়া সে এবং জঙ্গি আকিদুজ্জামান কিনেছিল।’

কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানার পর অভিযানের পর তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে আগেই একটি জঙ্গি আস্তানা ছিল, গুলশান হামলার পর তামিম চৌধুরীর জন্য সেখানে আরেকটি বাসা নেওয়া হয়। গুলশান হামলার পর গাজীপুরের দিকে ছিল রাশেদ। গাজীপুরের পর সে উত্তরবঙ্গে বেশি ছিল। নব্য জেএমবির বর্তমান সংখ্যা বলা যাচ্ছে না, তবে বড় ধরনের হামলা চালানোর সামর্থ্য তাদের আর নেই।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৮ জুলাই) ভোরে নাটোরের সিংড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিটিটিসি জানায়, পরিকল্পনার পাশাপাশি রাশেদ গুলশান হামলা বাস্তবায়নসহ অস্ত্র ও গ্রেনেড সংগ্রহ করে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজও করেছে। তার সঙ্গে গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচ হামলাকারীর সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ ছিল। পাঁচ হামলাকারীর প্রশিক্ষণের আয়োজনও করেছিল এই রাশেদ।

/এআরআর/এমও/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি